মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন সাকিব আল হাসান। আর তাতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছিল সাকিবের দল ফরচুন বরিশাল।
তবে বাজে ফিল্ডিং এবং ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়েও ৬ উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাকিবের দল। বিশাল এই লক্ষ্য সিলেট স্ট্রাইকার্স তাড়া করেছে এক ওভার হাতে রেখে। এটি বিপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড।
এর আগে ২০১৯ সালে ঢাকা প্লাটুনসের ২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল খুলনা টাইগার্স। দ্বিতীয় সর্বোচচ রান তাড়ার রেকর্ডটি সিলেট রয়্যালসের দখলে। তারা রংপুর রাইডার্সের ১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল।
মিরপুরে এদিন বরিশালের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ টসে জিতে ফিল্ডিং না নিয়ে বরং ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বরিশালের ব্যাটসম্যানরাও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে তুলে নেয় ১৯৪ রান।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি মাত্র ৩২ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছয়ে করেন ৬৭ রান। এছাড়াও চতুরাঙ্গা ডি সিলভার ব্যাট থেকে ৩৬ এবং আনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৭ এবং করিম জানাত করেন দ্রুত ১৯ রান।
সিলেটের পক্ষে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ৪ ওভারে ৪৮ রান দিলেও নিয়েছেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেটও শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকে। তবে সিলেটের জন্য পরে ব্যাটিং করা সুবিধারই হয়েছে। বরিশালের ফিল্ডাররা রাতের কুয়াশার মাঝে একের পর এক ক্যাচ মিস এবং ফিল্ডিং মিস করে বাউন্ডারি হজম করতে থাকে। বরিশালের পক্ষে তিন বিদেশি করিম জানাত, ইফতিখার আহমেদ এবং হায়দার আলী তিনজনই ক্যাচ মিস করেন।
যদিও সিলেটের ক্রিকেটাররাও এদিন ক্যাচ মিসের মহড়া দেখায়। যেখানে সিলেটের চেয়েও এগিয়ে থেকে নিজেদের বিপদ বেশি ডেকে নিয়ে আসেন বরিশালের ক্রিকেটাররা। এছাড়াও বেশ বাজে রকমের ফিল্ডিং মিস করে বাউন্ডারিও হজম করতে দেখা যায় বরিশালের ক্রিকেটারদের।
সিলেটের পক্ষে এদিন উদীয়মান ক্রিকেটার তৌহিদ রিদয় হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৫৫ রান করে আউট হন তিনি। তবে সবার নজর কেড়েছেন ফর্মে থাকা জাকির হাসান। মাত্র ১৮ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৪৩ রানের অসাধারণ এক ক্যামিও খেলে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেন তিনি।
এছাড়াও নাজমুল হোসেন শান্ত এর ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিক ১১ বলে ২৩ এবং থিসারা পেরেরা ৯ বলে ২০ রান করে দল জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।