জিতলেই সেমির টিকিট হাতে পাবে একদল। কারণ সকালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের রাস্তা খুলে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ২০ ওভার ব্যাটিং করে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ।
রোববার (৬ নভেম্বর) অ্যাডিলেডে সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচে তৃতীয় ওভারেই লিটনকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর সৌম্য এবং শান্ত জুটি দলের রানের চাকা সচল রেখেছিল। প্রায় ৭ ওভার ব্যাট করে এই জুটিতে ফাটল ধরে ম্যাচের ১১তম ওভারে। ১১তম ওভারে সাদাব খানের ৪ নম্বর বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন সৌম্য। এরপর মাঠে আসেন দলের অধিনায়ক সাকিব। নিজের প্রথম বলেই ডাউন দ্যা উইকেটে খেলতে আসে জুতার সামনের ভাগে এসে বল আঘাত করে। পাকিস্তানের লম্বা আবেদন, দীর্ঘক্ষণ সময় নিয়ে আউট দেন আম্পায়ার।
সঙ্গে সঙ্গে সাকিবও রিভিউ নিয়ে নেন। জায়ান্ট স্ক্রিনে বল ব্যাট পার করার সময় আল্ট্রাএজের দেখা মিলে। এসময় ব্যাট আর মাটির মধ্যেও বেশ ফারাক দেখা যায়। তবুও সিদ্ধান্তটি সাকিবের বিরুদ্ধেই নেয় থার্ড আম্পায়ার। আউট ঘোষণার পর মাঠেই আম্পায়ারের সঙ্গে অনেকক্ষণ আলাপ করেন সাকিব। কিন্তু সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকায় শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। সাকিবের এই আউটের পরেই যেন শুরু হয় ধরস। থেমে যায় রানের চাকা, পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। সাকিবের ১৪তম ওভারে অর্ধ শতক হাঁকিয়ে বিদায় নেন শান্ত। দলীয় স্কোর তখন ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৩.২ বল ৯১ রান।
৪৮ বলে ৫৪ রান করা শান্ত এর বিদায়ের পর ১১ বল থেকে ৫ রান করে আউট হন মোসাদ্দেক সৈকত। একই ওভারে তিন বল খেলে শূন্য রানে ফিরে যান সোহান। এরপর ১৯ ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন তাসকিন আহমেদ। এদিন ৫ বল খেলে মাত্র ১ রান করেন তাসকিন। একের পর এক উইকেট যাওয়া আসার মাঝেও উইকেটে টিকে ছিলেন আফিফ। শেষ ওভারে এক চার মেরে নাসুম আহমেদের বিদায়ের পরও ১১ রান তোলায় শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ।