মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খান এর হত্যা চেষ্টা মামলার ৩নং সাক্ষিকে হত্যার হুমকি ও প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লুটের অভিযোগ। এ ব্যাপারে গত ২২ আগষ্ট রোজ সোমবার মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন মামলার সাক্ষী মো: খুরশেদ মিয়ার পিতা ছমদু মিয়া, রামচন্দ্রপুর, ১নং রহিমপুর ইউ/পি, থানা: কমলগঞ্জে বাসিন্দা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট শনিবার, সময় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দেওড়াছড়া চাবাগানের চানপুর এলাকায় সাংবাদিককে হত্যা চেষ্টা মামলার ১নং আসামি কমলগঞ্জের রহিম পুর ইউপির বিষ্ণপুর এর বাসিন্দা তাহির মিয়ার ছেলে আকলিছ মিয়া (৪০) গংরা তাকে গতিরোধ করে। আখলিছ মিয়া নিজেকে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদ পদবী এবং জেলা উপজেলার বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তিদের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাংবাদিককে হত্যা চেষ্টা মামলার কমলগঞ্জ থানা মামলা নং ০৭, তারিখ: ১৫/০৮/২২ ইং মোতাবেক জি/আর ১২৫/২০২২ ইং (কমল) মামলার অভিযোগ পত্রের খুরশেদ মিয়া ৩নং সাক্ষী এবং আখলিছ মিয়া ১নং আসামী হওয়াতে উক্ত মামলায় সাক্ষ্য প্রদান না করার জের ধরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসতেছে।
সেই ধারাবাহিকতায় বর্ণিত মামলায় তিনি সাক্ষ্য প্রদান না করার নিমিত্তে অর্থাৎ উক্ত মামলায় তিনি কিছুই জানি না বলিয়া বর্ণিত মামলার বিচারিক আদালতে এফিডেভিট দাখিলের নিমিত্তে তাকে চাপ প্রদান করে আসতেছে। আখলিছ মিয়ার এহেন প্রস্তাবে রাজী না হইলে তাকে খুন করে ফেলার উদ্দেশ্যে আখলিছ মিয়া এবং আবুল মিয়া (৪৮), পিতা: মৃত মোবারক মিয়া, সাং: রামচন্দ্রপুর, ১নং রহিমপুর, ইউ/পি, থানা: কমলগঞ্জ, জেলা: মৌলভীবাজার এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন মিলে তাকে কালেঙ্গাঁর বাড়ীতে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওৎ পেতে থাকা আখলিছ গংরা গতিরোধ করে তাকে ঘেরাও আক্রমন করে। তাদের লিখিত এফিডেভিটে স্বাক্ষর প্রদান করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তিনি অপরাগতা স্বীকার করিলে আখলিছ মিয়া ও আবুল মিয়া গংরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে মেরে লাশ জঙ্গলে ফেলার হুমকি দেয়। আখিছ মিয়া ও আবুল মিয়া গংরা তার সহিত থাকা ব্যবসার ২,৭০,০০০/- টাকা দুই লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ছিনাইয়া নিয়ে যায়। তার হাল্লা চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে টাকা নিয়ে তারা বলতে থাকে বর্ণিত জি/আর ১২৫/২০২২ ইং (কমল) মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করিলে বর্ণিত ভিকটিম সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খানের মতো অবস্থার পরিনত করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি নিরুপায় এবং তার জানমালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা রেখে জেলার পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগ প্রদান করেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি