বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজীর নামাজে জানাজা জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জানাজার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জানাজার আগে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী বাংলাদেশের অঙ্গণে একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সবসময় দেশের পক্ষে কথা বলেছিলেন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তিনি গণমাধ্যমের জন্য সবসময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি কারা নির্যাতিত ছিলেন। আমরা গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ-মুক্ত করবো।’
এসময় রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আফনান আবরার বলেন, ‘বাবা সবসময় আমার কাছে একটাই জিনিস চাইতেন যে— তুমি কখনও দেশের বাইরে চলে যেও না। যত কিছুই হোক, মাতৃভূমি ছাড়া যাবে না। চলার পথে অনেকেরই ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে। আমার বাবারও যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেবেন।’
রুহুল আমিন যখন জেলে ছিলেন, তখন তার সুচিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ। তিনি বলেন, ‘যদি (সুচিকিৎসা) হতো, তাহলে হয়তো আজ এমনটা হতো না। উনি সাংবাদিক সমাজের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবেন।’
রুহুল আমিন গাজীর সঙ্গে অসংখ্য স্মৃতি আছে উল্লেখ করে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া বলেন, তিনি রাস্তায় আন্দোলন করতে গিতে কারা নির্যাতিত হয়েছেন। সাংবাদিকতায় আন্দোলন করতে গিয়ে কারাবরণ এমন উদাহরণ খুব কমই আছে।
নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেসক্লাব, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজে নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রধান ব্যক্তিরা।
নামাজে জানাজা শেষে প্রথমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রুহুল আমিন গাজীর মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এরপর জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম