তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় গত শনিবার (১৩ আগস্ট) বেলা দেড়টায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পথরোধ করে মোটারসাইকেল আটকিয়ে দৈনিক খবরপত্র কমলগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল বাছিত খাঁনকে দা দিয়ে এলোপাতারি ভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল সন্ত্রাসীরা। ঘটনার রাতেই কমলগঞ্জ থানার পুলিশ সন্দেহজনক হিসেবে উপজেলার রহিমপুর ইউপির বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত তাহির মিয়ার দুই ছেলে আকলিছ মিয়া (৪১) ও মকবুল মিয়া (৩৮)’কে আটক করেছিল। এ ঘটনায় ৪ দিন পর ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করা হলে আটক দু’জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
ঘটনার ঠিক ৭দিন পর র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা এ মামলার মূল আসামী কাওছার মিয়া (৩৫) ও ফারুক মিয়াকে(৩৪) আটক করে রোববার কমলগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেছে। অন্যদিকে রোববার এ মামলায় মৌলভীবাজার আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে নাজির মিয়া (৩৭) ও লিটন মিয়া (৩৮) কে কারগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে এ মামলায় ৬ জন আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এলপাতারি ভাবে দায়ের কুপে সাংবাদিক বাঁছিত এর ২ হাতের এক হাতের কবজি আলাদা সহ ও ২ পায়ে বড় ধরণের ক্ষতের সৃষ্টি হলে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে জরুরী ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। সাংবাদিক আব্দুল বাঁছিত খাঁন এখন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের বিছানায় বেঁচে থাকার লড়াইয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
বি:দ্র: সাংবাদিক আবুল বাছিত খাঁনকে পঙ্গুত্ব থেকে ফিরিয়ে আনতে সমাজের সাহসী সাংবাদকর্মীকে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আব্দুল বাছিত খাঁন ব্যক্তিগত সাহায্যের জন্য ফোন নং বিকাশ:,০১৭১৬৪৬১২৭৬ একটু সহযোগিতায় পঙ্গুত্ব বরণ থেকে বেঁচে যেতে পারে।