ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারাই ভিন্নমত পোষণ করবে তাদেরকেই এ সরকার সন্ত্রাস বানিয়ে দেয়। তারা এদেশকে আওয়ামী লীগের দেশ বানাতে চায়। গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি’র কার্যালয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ফ্রন্টের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামীদিনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই জবরদখলকারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা এই সরকারকে আর কোনোভাবেই ভোট চুরির সুযোগ দেয়া হবে না।
এর আগে সকালে তিনি দলীয় কার্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশের লোকেরা আসলেই অনেক সহজ-সরল। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও তাই। তারা বুঝতেও পারে না যে টোপর মাথায় পড়া একদিনের বরের যে কদর থাকে, একদিনের ভোটকে কেন্দ্র করে এ সরকারের কাছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও ঠিক তাই।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ যে মারামারি, হানাহানি, মন্দির ভাংচুরের মতো সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো ঘটছে, এগুলো সব বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারই ঘটাচ্ছে। আর এতে করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করা আওয়ামী লীগের কাছেই সুরক্ষিত নয়। এ সরকার বারবার সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো অস্ত্র বানিয়ে বিএনপির ওপর চাপিয়েছে।
২৭ দফা নতুন রূপরেখা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করে জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি পরপর দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না – এ লক্ষ্যে সংশোধনী আনা হবে।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ফ্রন্টের সভাপতি মনোরঞ্জন সিংসহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান