করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘমেয়াদী কোন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে সেটিও মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। কর্মহীন নাগরিককে ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে নেয়া হয়েছে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। এক্ষেত্রে কোন ধরণের দুর্নীতি হলে ছাড় না দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। এদিকে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শাহ কামাল বলেন, যারা কর্মহীন অবস্থায় আছে, তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়। দীর্ঘ মেয়াদী কিন্ত বিষয়টি ভাবছি। জুন পর্যন্ত একটা পরিকল্পনায় আছি। যদি প্রয়োজন পড়ে পরবর্তীতেও একটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় আছি।
এদিকে, এ ধরণের সংকটকালে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি ও সময় বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়ে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব জানান, সংকট চলাকালে সারাদেশের কর্মহীনদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ অর্থ সহায়তাও দেয়া হবে। সংকটকালীন কেউ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র মোহাম্মদ শাহ কামাল বলেন, চাল, আলু, ডাল, লবণ, তেল দিচ্ছি। এবং অনেক জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনী জিনিস কিনার জন্য টাকা দিচ্ছি। ত্রাণ নিয়ে কোন ধরণের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এবং কেউ যদি এটার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ধরে নেয়া হবে।