অলিউর রহমান মেরাজ দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দৃষ্টিহীন যুবক হাফিজুল ইসলাম জন্ম থেকেই তিনি তার চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেন।বর্তমানে তিনি অন্ধত্ব সহ স্ত্রী এবং ছয় ছেলে-মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন। কিন্তু ছয় ছেলেমেয়ে হলেও তাদের থাকার ঘর একটি। তাই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতে হয় সেই একটি ঘরেই। আর এজন্যই তিনি একটা ঘর উপহার চান সরকারের কাছে।
হাফিজুল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহামুদপুর ইউনিয়নের মোগড়পারা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। সে নিজ গ্রামেই একটি ঘরে স্ত্রী ও ছয় ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকছেন ।তবে তিনি অন্ধ হলেও চলাফেরা করতে তেমন সমস্যা হয় না তার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে একাই পড়তে পরেন তিনি। এছাড়াও গোসল সহ খাওয়া-দাওয়া একাই করতে পারেন।
হাফিজুল ইসলাম জানান, সরকারের দেওয়া প্রতিবন্ধি কার্ডের টাকা প্রতি তিন মাসে পান ২ হাজার ২শ ৫০ টাকা। এই টাকা দিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ বহন করা তো সম্ভব নয় বরং সংসারের খরছ চালাতেও হিমসিম খেতে হয়। তাই প্রায় সময় মানুষের সহযোগিতা নিয়ে চলতে হয় তাকে । এর মধ্যে আবার বসতঘরটিও ভেঙে রয়েছে বিগত কয়েক বছর ধরে। টাকার জন্য ঘরটি ঠিকও করতে পারছেন না তিনি। তাই সরকারের কাছে দাবি নতুন একটি ঘর করে দেওয়া হোক তাকে।
হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী জানান, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে একটি ঘরে থাকতে কষ্ট হয় তাদের, সরকার যদি তাদের একটি ঘর উপহার দিতেন তাহলে সেখানেই তাদের মাথা গুজার ঠাঁই হতো।
তবে হাফিজুল ইসলাম অন্ধ হলেও ভিক্ষা করতে চায় না। যদি ভিক্ষা করতেন তিনি তাহলে সন্তানের উপর তার প্রভাব পরত। তাই তিনি জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেন, যাতে তাকে স্থায়ীভাবে একটা কিছু করে দেয়া হয়।সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ ০১৭২৩৭৪৩৯৩৪ বিকাশ,রকেট, নগদ ডাচ্ বাংলা ও উপায়।
এ বিষয়ে ৮ নং মাহামুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান মোঃ সালাউদ্দিন মাসুম বলেন, সরকারি ঘর বরাদ্দের সময়ে হাফিজুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না তবে নতুন করে ঘর বরাদ্দ এলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমেই তাকে একটা ঘর দেওয়া হবে।