সাবিক ওমর সবুজ : “নাটক হোক সমাজ দর্পনের হাতিয়ার ”এই স্লোগানকে সামনে রেখে সসাস কর্তৃক আয়োজিত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের নাট্য প্রতিযোগিতা’২২ এর প্রাথমিক বাছাই পর্ব গত ১০ জুন বগুড়ায় সম্পূর্ণ হয়েছে।
সারাদেশ ব্যাপী ইসলামি সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করছে সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস)। এরই ধারাবাহিকতায় সসাস আয়োজন করেছে দেশব্যাপী জাতীয় নাট্য প্রতিযোগিতা ” ২২ ইং। উক্ত প্রতিযোগিতা সারাদেশের শিল্পীগোষ্ঠী ও নাট্য সংগঠনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে প্রাথমিক বাছাইপর্ব শুরু হয়েছে।
উক্ত প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদের (সসাস) নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সসাসের সহকারী নির্বাহী পরিচালক রেজাউল ইসলাম, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সসাসের আবৃত্তি ও উপস্থাপনা সম্পাদক শাফায়েত উল্লাহ, শিশু-কিশোর বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসাইন।প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা মাহ্দী হাসান ও রাকিব রাশেদ।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সংস্কৃতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং গেমস সংস্কৃতির কালো থাবায় আটকে গেছে আমাদের সংস্কৃতির স্বকীয়তা। আমাদের ধর্মবিশ্বাসের ঐতিহ্যে গড়ে ওঠা আবহমান কালের চিরায়ত সংস্কৃতি থেকে সুকৌশলে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমন ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে বিশ্বাসী চেতনা ও নৈতিক মূল্যবোধের সংস্কৃতি নাট্য আন্দোলনের মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে এই প্রতিযোগিতা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সসাসের সহকারী নির্বাহী পরিচালক হাফেজ রেজাউল ইসলাম বলেন, বাংলা সাহিত্যে বাংলা নাটক এর উদ্ভব ১৮৫২ খৃষ্টাব্দে। নাটক সমাজ দর্পণের হাতিয়ার। জীবনকে প্রত্যক্ষত দেখতে, জানতে, বুঝতে নাটকের বিকল্প নেই। দেশ কাল-সমাজ ও সমাজ-আশ্রিত জীবন নাটকে প্রতিফলিত হয়। নাটক মিশ্রকলা একাধারে যেমন পাঠ্য আবার অভিনয়েও বটে। প্রাচ্য নাট্যশাস্ত্রী ভরত-এর মতে, নাটক হল সর্ব শাস্ত্র, শিল্প, কর্ম ও বিদ্যার সমন্বয়ে রচিত। নাটক জীবন নিয়ে রচিত। তাই সমাজের জীবনের নানা সমস্যা ও সংকটের শিল্পীত রূপ নাটকে প্রতিফলিত হয়। বাংলাদেশে মঞ্চ নাটক আবারো ফিরিয়ে আনতে সসাসের নাট্য প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সসাসের আবৃত্তি ও উপস্থাপক সম্পাদক শাফায়েত উল্লাহ বলেন,ইসলাম একপ্রকার পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসাবে শুধু মুসলমানদের ধর্মীয় জীবন পরিচালনা করে তা নয়, বরং সামগ্রিক জীবন ব্যবস্থার এক অনিবার্য প্রভাব বিস্তার করে। ব্যক্তিগত, সামাজিক আচার অনুষ্ঠান, শিক্ষা-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জীবনাচারন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে ইসলাম। ইসলামের নাট্যর গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া শিল্পীদের নাট্যর যত্বের বিষয়ে আলোচনা করেন।
সসাসের শিশু কিশোর সম্পাদক জাকির হোসাইন বলেন, বিশ্বায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সংস্কৃতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং গেমস সংস্কৃতির কালো থাবায় আটকে গেছে আমাদের সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা। আমাদের ধর্মবিশ্বাসের ঐতিহ্যে গড়ে ওঠা আবহমান কালের চিরায়ত সংস্কৃতি থেকে সুকৌশলে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমন ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে বিশ্বাসী চেতনা ও নৈতিক মূল্যবোধের সংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তরুণ প্রজন্মের সংস্কৃতিকর্মীদের আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এমন সময় সসাসের সুন্দর আয়োজন নাট্য উৎসব দেশের নাটককে আরো সামনে দিকে নিয়ে।
উক্ত প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন সসাসের নাট্য ও মিডিয়া সম্পাদক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম মাসুম।