করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে ঘরবন্দী রয়েছে মানুষ। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার গণপরিবহন। পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক চলাচল করলেও খাবার হোটেলের সমস্যার কারণে সে সংখ্যাও খুবই কম। ফলে পাইকার ও পরিবহন সংকটের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া বন্ধ রয়েছে যশোরের সবজি। এতে ভরা মৌসুমে উৎপাদিত পণ্য ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের লোকসান ঠেকাতে ন্যায্যমূল্যে প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের তত্ত্বাবধানে তৈরি ‘হাতের মুঠোয় কাঁচা বাজার’ নামক অ্যাপের মাধ্যমে ক্রেতা ঘরে বসেই ন্যায্য মূল্যে বাজার করতে পারবেন।
অ্যাপের ‘ঘরে বসে কৃষি বাজার করি’ কার্যক্রমের আওতায় শাক-সবজি, কাঁচা তরকারি, ফলমূল ইত্যাদি কেনা যাবে।
গুগল প্লে-স্টোর থেকে ‘হাতের মুঠোয় কাঁচা বাজার’ অ্যাপটি সহজেই ডাউনলোড করা যাবে। ভোক্তা সাধারণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী অর্ডার করলে ন্যায্য মূল্যের বিনিময়ে জেলা প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক দল ঘরে ঘরে পণ্য পৌঁছে দিবে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এবং খুলনা কৃষি বিপণন অধিদফতর।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের লোকসান ঠেকাতে ন্যায্যমূল্যে সরাসরি মাঠ থেকে সবজি ক্রয় শুরু করেছে । সেনাপ্রধানের অনুপ্রেরণায় যশোর সেনানিবাসের ৪০টি ইউনিট আগামী এক মাস এ পদ্ধতিতে তাদের দৈনন্দিন খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় সবজি ক্রয় করবে।
সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চাষিরা। তাদের দাবি, অন্যান্য সংস্থাগুলোও যদি এগিয়ে আসতো তাহলে করোনার প্রভাবে লোকসান গুনতে হবে না তাদের।