গলায় মালা। কপালে তিলক। দু’জনে হাসি মুখে তাকিয়ে রয়েছেন সোজা ক্যমেরার দিকে। শ্রাবন্তী এবং রোশনের ঠিক এমন একটি ছবিই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা হলে সত্যিই কি বিয়েটা সেরে ফেললেন নায়িকা?যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। শ্রাবন্তী এবং রোশনের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকেও শেয়ার হয়নি এই ছবি।
শ্রাবন্তীর পরিবার কৃষ্ণভক্ত। এ কথা টলি মহলের অনেকেই জানেন। শ্রাবন্তী নিজেও ঈশ্বরে বিশ্বাসী। এই ছবি দেখে অনেকেই মনে করছেন, হয়তো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে শ্রাবন্তীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
শোনা যাচ্ছে, পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ গত সোমবার বাগদান হয়ে গিয়েছে শ্রাবন্তী-রোশনের। প্রায় এক বছর সম্পর্কে থাকার পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এই জুটি।
শুক্রবারই সম্ভবত সাতপাকে বাঁধা পরলেন এই জুটি। তবে তা কলকাতায় নয়। চণ্ডীগড়ে। রোশনের বাড়ি সেখানেই। সূত্রের খবর, সোমবার এনগেজমেন্ট হয়েছে তপসিয়ারই একটি বিলাসবহুল রেস্তরাঁয়।
পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে শ্রাবন্তীর প্রথম বিয়ে হয় ২০০৩ সালে। শোনা যায়, রাজীব নানা ভাবে নির্যাতন করতেন শ্রাবন্তীকে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কও নাকি ছিল রাজীবের। সেই কারণেই বিচ্ছেদ। রাজীব-শ্রাবন্তীর ছেলেও রয়েছে, ঝিনুক। রাজীবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে শ্রাবন্তীর বিয়ে করেন পেশায় মডেল কৃষণ ব্রজকে। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হয় মনোমালিন্য। তার কারণ কেউই স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। গত জানুয়ারিতে কৃষণের সঙ্গে বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়ে যায় শ্রাবন্তীর। তার পরেই নায়িকার সঙ্গে জড়িয়ে যায় রোশনের নাম।
রোশন পেশায় একটি এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু সুপারভাইজ়ার। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও শ্রাবন্তীর সম্পর্ক ভাল। ছেলে ঝিনুকেরও এই বিয়েতে মত রয়েছে বলে খবর।