মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অনারম্ভার পরিবেশে আনন্দ উদ্দীপনায় শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১শে অক্টোবর) সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব এ পূজা উদযাপন করা হয়।
বিকাল থেকে জেলার প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমা আনয়নের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যায় আলোর উৎসব দীপাবলিতে প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনদের স্মরণ করা হয়। রাত ৮টায় পূজার ঘটস্থাপন ও রাত ৯টায় পূজা শুরু হয়।
এর আগে সন্ধ্যায় শ্যামা পূজা উপলক্ষ্যে প্রতিটি মন্দিরে মন্দিরে আলোয় আলোকিত করে নিজ নিজ পূজা মণ্ডপ সহ বাসা বাড়ি সকলে অন্ধকারকে ছুঁড়ে ফেলে আলোর খুঁজে প্রদীপ প্রজ্বলন করে প্রতিটি হিন্দু সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ঘর সহ এলাকার জুড়ে আলোর জমকানি।
সনাতনী শাস্ত্র মতে দূর্গোৎসব এর পরের অম্যাবসাতে দীপাবলি ও শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জেলা থেকে উপজেলায় গ্রাম গঞ্জে দেশের সংস্কৃতি ও বাক-স্বাধীনতা এবং সকলের ধর্ম অনুযায়ী রীতিনীতি রক্ষা করে পালনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু সবাই সমান ভেবে সকলের সহযোগিতা এগিয়ে যাবে দেশ। শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে ঘুরে দেখা যায়, ছোট বড় সকলে বাড়ি ঘরে আলোয় জমকালো আয়োজনের মধ্যে আতশবাজি নিষিদ্ধ হলেও আনন্দে ও বিভিন্ন রঙের আতশবাজি নিয়ে ব্যস্ত ছোটরা।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকলেই যার যার ধর্ম ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে পালন করছে। সুতরাং কেউ যাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না দিতে পারে এবং উস্কানিমূলক কিছু না করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সকল ধর্মের অনুসারীদের স্বাধীনতা রয়েছে।
আজ ১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:৩৯ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি