মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২নং ভূনবীর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন মির্জাপুর রোড সরকার বাজারস্ত এলাকা দিয়ে প্রবাহিত আলিয়া ছড়ার ওপর অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী আইয়ুব আলী। রাস্তার পাশঘেঁষা সরকারি (খাস) জমি ও আলিয়া ছড়া (গাংয়ের) বেশকিছু অংশ জবরদখল করে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের ফলে ছড়া দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ছড়া (গাং) ও তীর সংলগ্ন সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে জবরদখল করে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ফ্লোর ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত এবং ২নং ভূনবীর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ গ্রামবাসী বাঁধা প্রদান করার পর ও ভবন নির্মাণে কোন বাঁধাই আইয়ুব আলী কোনকিছুর তোয়াক্কা না করে দিলে আইয়ুব আলি নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন।
উপজেলার ২নং ভূনবীর ইউনিয়নের বাদেআলীসার ৫নং ওয়ার্ডের গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগে জানা যায়, বাদে আলীসা গ্রামের মৃত ছুরত আলীর ছেলে আইয়ুব আলী অবৈধভাবে ও বিনাঅনুমতিতে আলিয়া ছড়া গাং বন্ধ করে সরকারি খাস ভূমির উপরিস্থিত জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করছেন। সরকারি খাস ভূমির উপর প্রভাবশালী আইয়ুব আলী কর্তৃক অবৈধভাবে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী আবেদনপত্রে জোর দাবী জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সিরাজ মিয়া। মোঃ সিরাজ মিয়া জানান, এটা ১৫৮১ দাগ সম্পূর্ণ সরকারী খাস জায়গা। ছড়া (গাং) এবং খাস জায়গা জবরদখল করে ভবন করছেন তিনি। আমরা এলাকাবাসী মিলে বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত দিয়েছি। তবুও কর্তৃপক্ষ নিরব ভুমিকা পালন করছে।
এলাকার ক’জনের গ্রামবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, আইয়ুব আলী অল্প দুরে মালিকানাধীন ১ শতক জায়গা ক্রয় করেন। জবরদখল করে সরকারি খাস ভূমির উপর জোরপূর্বক ভবন নিমার্ণ কাজ শুরু করেন ভূনবীর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার জসিম আহমেদ কামাল।
জসিম আহমেদ কামাল বলেন, দুই নম্বরি করে এই ভবন এর কাজ করা হচ্ছে। একে তো ব্রীজের গা ঘেঁষে বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে, যা ব্রীজ তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। সরকারি জায়গার উপরে হচ্ছে। এই জায়গা তার ক্রয়কৃত জায়গা নয়।
এ ব্যাপার অভিযুক্ত আইয়ুব আলীর সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ভূনবীর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ ছইদুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে আমি আমার স্যারের সাথে আলাপকরে আমি নিজে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। জায়গা সে লুকিয়ে দখল করা হচ্ছে তা তো আর বুঝা যায়নি। আমি নিশ্চিত এই জায়গাটা সরকারি খাস জায়গা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু তালেব বলেন, আমি এধরণের কোন অভিযোগ পাই নাই। সরকারি জায়গায় যদি কোন ভবন হয় আমরা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। সরকারি জায়গায় ভবন উঠানোর কোন সুযোগ নাই। যদি সে সরকারি জায়গায় ভবন উঠায় অবৈধভাবে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
আজ ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৩৬ | সোমবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি