মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে চিনি বিক্রি ও ৩৫ বস্তা চিনি মজুদ রাখার কথা অস্বীকার করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে নগদ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তা আদায় করা হয়।
বুধবার দুপুরে শ্রীমঙ্গলের মৌলভীবাজার রোডস্থ ও সেন্ট্রাল রোডে র্যাব-৯ ফোর্সের সহযোগিতায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মৌলভীবাজার রোডস্থ আদি ভান্ডারকে অতিরিক্ত (৩৫ বস্তা) চিনি মজুদ করে রেখে অস্বীকার করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সেন্ট্রাল রোডস্থ মেসার্স প্রাণ গোপাল বাণিজ্যালয়কে নির্ধারিত মূল্য তালিকা থেকে বেশী দামে চিনি বিক্রয় করা এবং ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করাসহ দোকান এক নামে আর রসিদ অন্য নামে থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ এবং তা আদায় করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন সাংবাদিকদের বলেন, শ্রীমঙ্গলের পাইকারী বাজারে অভিযান পরিচালনা করছি, বিশেষ করে চিনি এবং তেলের উপরে। আমরা শুনেছি, গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে যে চিনির একটা সংকট দেখা দিয়েছে। একই সাথে সয়াবিন তেলের ও সংকট দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমরা অভিযানে দেখলাম চিনি পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে এবং তেলও রয়েছে। আমরা অনিয়ম পেয়েছি, অনেকে মাল বিক্রির ভাউচার দিচ্ছেন না এবং ভাউচার দিলেও সেটা পাকা মেমো না, কাঁচা মেমো। উনাদের মূল্য তালিকার চেয়েও বেশী মূল্যে চিনি বিক্রি করছেন। এখানে আমরা কারসাজি দেখেছি। এই কারণে সেন্ট্রাল রোডের এক পাইকারী ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার ও মৌলভীবাজার রোডের এক পাইকারী ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। আজকের অভিযানে সর্বমোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়েছে। আগামীতে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ও অনিয়ম ও কারসাজির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।