তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউপি জামসী এলাকার হরিনাকান্দি গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সহযোগী মুক্তিযুদ্ধা শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ৬নং আশিদ্রোন ইউপি সভাপতি আব্দুল বাছিত (আলাই) এর ভাই মিনার মিয়া, জয়নাল মিয়া,কামাল মিয়া ও সাহিদ মিয়া নামে ৪জনকে দেশীয় অস্ত্র দা, ছুলফি,চাপাতি দিয়ে পিটিয়ে,কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য সন্ত্রাসী কায়দায় ২০ থেকে ২৫ জন লোকজন নিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করা হয়েছে। গত সপ্তাহের শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ২জন রেমিটেন্স যুদ্ধা মিনার মিয়া ও জাহিদ মিয়া প্রবাসী। মিনার মিয়া,জয়নাল মিয়া,কামাল মিয়া হরিনাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সুজাত মিয়ার ছেলে। সাহিদ মিয়া হরিনাকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ধান ক্ষেতের জমি নিয়ে পাশ্ববর্তী গ্রামের দেবিপুর গ্রামের (কোনাগাঁও) এর সঙ্গে নূরুল ইসলামের গোষ্ঠীর বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সকালে ক্ষেতে হাল দিতে আসলে ঐ কাজের সময় নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারবর্গ সহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় ২০-২৫ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমন করে । এ সময় সন্ত্রাসীরা কালক্ষেপন না করেই অর্তকিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে নূরুল ইসলাম সহ ৪ জনকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে,এতে একজনের হাতের আংঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের দ্রুত শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন, কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকের পরমর্শে ২জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে ও ২জনকে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করেন।
ঘটনার ২ দিন পর গত ৯ই আগষ্ট এ ঘটনায় দুলাল মিয়া বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ৪৫৭৬(৩)/১।
গতকাল সোমবার (১৬ই আগষ্ট) পর্যন্ত মামলার এজাহারনামীয় কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। আহত নুরুল ইসলাম সহ ৪জন বর্তমানে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি আসামীদের গ্রেফতারের জন্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু অভিযোগকারীরা জানান, আসামীগন তাদের নিজ এলাকায় ঘুরাফেরা করছে এবং মামলার বাদীকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। এই মূহুর্তে বাদীগন আতঙ্কিত হয়ে আছেন। তারা বলেন প্রানে রক্ষা পেলেও এখন আমরা মৃত্যু ভয়ে ভীতিকর পরিস্থিতিতে আছি, আবারও যে কোন মূহুর্তে আমরা হামলার শিকার হতে পারি।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্যে চেষ্টা চলমান। তারপর ও আমি তদন্ত কর্মকর্তাকে তাগিদ দিয়ে বলে দিতেছি এমন আশ্বাস প্রদান করেন।