রাজনীতি ডেস্কঃ শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের জন্য মহান আল্লাহর বিশেষ আশীর্বাদ বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিবিদ ড. মোঃ আওলাদ হোসেন। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ৪১ বছর ধরে এদেশের মানুষের স্বপ্নপূরণে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার (২০ মে) বিকেল ৪টায় জুড়াইন রেলগেট এলাকা সংলগ্ন চত্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, কদমতলী থানা আওয়ামীলীগের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ ড. মোঃ আওলাদ হোসেন এসব কথা বলেন।
ড. মো. আওলাদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। চলতি বছর জুন মাস থেকেই পদ্মা সেতুতে গাড়ী চলাচল করবে। খুব সহসাই পদ্মা সেতুতে রেল লাইন সংযোজিত হবে। শেখ হাসিনার আশীর্বাদেই এই জুরাইন রেলগেটে ফ্লাইওভারসহ পদ্মা নদীর তীর পর্যন্ত (মাওয়া পর্যন্ত) এত সুন্দর নয়নাভিরাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে। কৃষির উন্নয়নে সারা বিশ্ব আজ ঈর্ষান্বিত।
তিনি আরও বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শিক্ষার উন্নয়ন, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দরসহ অসংখ্য মেগা প্রকল্প, আজ দৃশ্যমান। শতভাগ মানুষের বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে।আশ্রয়হীন সকল মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, মহাজোট থেকে পরপর দুইবার নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঢাকা-৪ এলাকার উন্নয়নে নজর দিচ্ছেন না। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন না। প্রায় দশ লক্ষাধিক মানুষের আবাস অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা এই এলাকার ডিএনডি বাঁধের মধ্যে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশার কথা বিবেচনা করে এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘ডিএনডি ড্রেনেজ অ্যান্ড স্যুয়ারেজ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প’টি যথাসময়ে বাস্তবায়নসহ, মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন এবং খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
সাবেক এই ছাত্রনেতা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৮০ সালের এই দিনে, শেখ হাসিনা স্বদেশের পবিত্র মাটিতে ফিরেছেন। ঐদিন ঢাকায় প্রচণ্ড তাপদাহ ছিল। সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে সমবেত হতে থাকে। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সাজসাজ রবরব। আমরা স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও আওয়ামী লীগের মিছিলের সাথে উপস্থিত হয়েছিলাম। প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাকাল অবস্থা। শেখ হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি যখন বাংলার আকাশে প্রবেশ করলো, আবহাওয়ার কারণে আকাশ তখন মেঘলা হয়ে আসলো। আল্লাহর অশেষ রহমতে অঝোরে বৃষ্টি নামল। সেদিন মানিক মিয়া এভিনিউতে সমবেত জনতা তাপদাহের পর বৃষ্টিতে ভিজে স্বর্গীয় সুখ ও শান্তি পেয়েছিল। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে মানুষের আনন্দাশ্রু ও প্রকৃতি যেন একীভূত হয়েছিল।
কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নাছিম মিয়ার সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সাবেক প্যানেল মেয়র ও সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত মুফতি, ৫৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মহব্বত হোসেন, থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা শরীফ মো. শাহজাহান, রোকসানা বেগম পারুল, সৈয়দ আহমেদ, শহিদ মাহমুদ হেমী, কাজী জাহিদ, আওয়ামী লীগ নেতা আরিফ, জাহাঙ্গীর খান, মুনিরুজ্জামান মুনীর, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌসী ইয়াসমিন পপি, থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শামীম আহমেদ, থানা যুব মহিলা লীগ সভাপতি হাসিনা শেখ প্রমুখ।