রাজনীতি আর রাষ্ট্র এক কথা নয়। রাজনীতি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার মাধ্যমপথ, রাষ্ট্র পরিচালনাতেও রাজনীতি লাগে। রাজনীতির পরিভাষায় যাকে বলে কুটনীতি। দেশের ভাগ্য,অর্থনীতি, উন্নয়ন নির্ভর করে দেশের কুটনীতির উপর। বিশ্ব সম্পর্ক, সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম জরুরী বিষয়। ৭৫ এর পরে আওয়ামী লীগ ছাড়া দুটি দল রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিল। কুটনৈতিকভাবে তারা ছিল ব্যর্থ। নিকট প্রতিবেশী ভারত কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে দেশের স্বার্থ বিলিয়ে কিন্তু, রাজনীতি করেছে ভারত বিদ্বেষী। আওয়ামী লীগকে গাল দিয়েছে ভারতের দালাল বলে। নির্বাচনে জয়ী হতে তারাই আবার নিঃশর্ত গ্যস রপ্তানীতির গোপন চুক্তি করেছে ভারতের সংগে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনয়ায় গিয়ে দেশের স্বার্থে পানি চুক্তির কথাটিও ভুলে গেছেন আপ্যায়নে গদ গদ হয়ে। গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা করেছেন, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদে উলু ধ্বনী শোনা যাবে।
আওয়ামী লীগ এখন ১১ বছর টানা ক্ষমতায়, দেশের মসজিদে উলুধ্বনী শোনা যায়নি বরং, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন হয়েছে। রাষ্টের কুটনীতিও এখন সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় হয়েছে, বৃহত্তম গনতন্ত্রের ভারতকে না বলার সাহাস দেখায় বাংলাদেশ। শুধু ভারত নয়, বিশ্ব অর্থনীতির বৃহত্তম দেশ চীনও এখন বাংলাদেশের ইকোনমিক পার্টনার। চীনের যূদ্ধাং সম্পর্কের কারনে ভারত বাংলাদেশকে চীনের সম্পর্কের শর্ত আরোপের হুমকি দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। এখন শুধু চীন নয়, শক্তিধর এমেরিকার প্রেসিডেন্টও ভারতের পক্ষ হয়ে শেখ হাসিনার কাছে গ্যাস রপ্তানীর প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যত হয়েছেন। এটাই কুটনীতি, এটাই নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার মত সেই নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। যারা ৭১ এ বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, বাংলাদেশকে যারা তলাবিহীন ঝুড়ি বলে ব্যাংগ করেছিল তারাই, এখন উন্নয়নের মডেল রাষ্ট্রের খেতাব দিয়ে বাংলাদেশের প্রসংশা করে। আলাদিনের প্রদীপ বা অন্য কোন অলৌকিক পন্থায় বাংলাদেশ বদলে যায়নি, ভাগ্য বদলের ভাবনা করতে হয়েছে। যথাযথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মানে বিশ্বব্যংকের টাকা ফেরত নিতে দেশীয় দালালরাই সর্বোচ্চ এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে। অভিযোগ করেছে অনিয়মের কিন্তু, কানাডার আদালতে সেই মামলা মিথ্যা প্রমানিত করে পদ্মা সেতু এখন নিজস্ব, সমাপ্তির পথে নিজস্ব অর্থায়নে। এটাই নেতৃত্ব, এটাই রাষ্ট্রকর্ম এবং শেখ হাসিনা সেই যোগ্যতাটি প্রমান করেছেন। জাতীর পিতার জন্মশত বার্ষিকি পালনের ব্যপক প্রুস্তুতি মহামারী করোনার কারনে বন্ধ করে দিয়েছেন কারন, দেশের মানূষের জীবন রক্ষা জরুরী। বন্যা কবলিত দুস্থ্য মানূষের সেবায় সার্বক্ষনিক তদারকি করেছেন শেখ হাসিনা নিজে কারন, তিনি মানূষের নেতা। করোনায় প্রদত্ত্ব প্রনোদনার অর্থ আত্নসাৎ করে রেহাই পায়নি দলের পরিচয়েও। বন্যার ত্রান চুরি করতে সাহস করেনি কেউ কারন, ওয়াচ ডগ হয়ে পাহাড়া দিয়েছে সর্বত্র এটাই রাষ্ট্র পরিচালনা। পল্টনে বক্তৃতা করা আর রাষ্ট্র পরিচালনা করা এক কথা নয়, রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশপ্রেম লাগে। শেখ হাসিনা দেশপ্রেম দেখিয়েছেন। বাবার মত শেখ হাসিনাও যৌবনের সূখ আহ্লাদ ত্যাজ্য করে জনতার পাশে এসে দাড়িয়েছেন। পরিবার হারা হয়ে বোনকে নিয়ে বাংলার মানুষের কাছেই বিচার চেয়েছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ গড়েননি, তাইত দাংলাদেশের মানুষ এখন শেখ হাসিনাকেই আশ্রয়স্থল মনে করে, ভরসা করে শেখ হাসিনারই উপর।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
২৩ আগষ্ট ২০২০।