প্রতিদিন না হলেও প্রায় দিনই অপরাধের তথ্য ফাস হচ্ছে দেশে। অপরাধী ধরা পরে, গ্রেপ্তার হয় বিচারও হয় কিন্তু অপরাধ কমেনা। বিচার হতে বছর পেরিয়ে যায়, মানূষ ভুলে যায় কি ঘটেছিল। আইনের মার প্যচে অপরাধী বেড়িয়ে আসে। অপরাধ হচ্ছে সরকারী অফিসে। মাঝে মাঝে দু’একজন ধরাও পরে। এটাই যথেষ্ঠ নয় অপরাধ নির্মুল করতে হবে নাহলে দেশে উন্নয়ন হলেও জনগন সুফল পাবেনা। বিল চুরি, লাইন চুরি, অর্থচুরি, ট্যক্স চুরি এখন ঘুষের বিনিময়ে দেশের সম্পদ চুরি হচ্ছে অবাধে। লুট হয়ে যাচ্ছে ব্যংকের গচ্ছিত অর্থ। এমন কোন দপ্তরে নেই যেখানে ঘুষ চলেনা! ঘুষ ছাড়া পুলিশের কাছেও মামলা করা যায়না। লোকে বলে নেতারাও ঘুষ খায় এবং ঘুষ খেয়েই অন্যকে ঘুষ খাওয়ার সুযোগ করে দেয়। দু’ চার জন বা কয়েক শ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করলেও ঘুষ প্রবনতা বন্ধ হবেনা দেশে। চাকুরীর বেতন কে টোকেন মানি মনে করে সরকারী কর্মচারীরা। বেতনের অধিক টাকা বাসা ভাড়া দেয়। তাহলে বাকী খরচ আসে কোথা থাকে। ঘুষখোরদের চিনতে পন্ডিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই প্রবনতা বন্ধ না হলে দেশ যতই উন্নত হোক, অপরাধীরাই খেয়ে ফেলবে সব।
একটা উপায় আছে বৈকি! ডিজিটাল যূগে অপরাধী ধৃত হলেই অমোছনযুগ্য উপায়ে তাদের তালিকা সংগৃহীত হবে। অপরাধী ধৃত হলেই বরখাস্থ্য হবে, বিচারও হবে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ ক্রোক করে সরকারী কোষাগারে জমা করা হবে। বিচারে অপরাধ প্রমানীত হলে সাজাপ্রাপ্ত হবে। অপরাধীর সন্তানরা সরকারী চাকুরীতে আবেদন করতে পারবে না। যোগ্য হলেও অপরাধী বাবা/মায়ের কারনে যোগ্য বিবেচীত হবেনা। পরের বংশধর আবার ফিরতে পারবে। পুলিশসহ সরকারী অফিসে তিন মাস ডিজিটাল উপায়ে নিরিক্ষা চালালে বাংলাদেশ বদলে যাবে। চাকুরীর পদ খালী হলে হাজার যোগ্য প্রার্থী দাড়িয়ে আছে পদের জন্য। প্রশাসন চালাতে ব্যত্যয় হবেনা একদিনও এবং খুব ভাল চলবে। বাংলাদেশে এখন মেধাবী ছেলে মেয়ে অনেক। চাকুরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি চালু হলে দেশে দুর্নীতি থাকবেনা। দেশের অবস্থান বদলে যাবে এক বছরেই। ঘুষখোর চিহ্নিত করতে বিজ্ঞানী হতে হবেনা। জননেত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র সৎ নেত্রী, তিনিই পারবেন যদি কঠোর হন। একই পদ্ধতি রাজনীতিতেও ব্যবহারিত হবে- দেশে এখন এটাই বাস্তবায়ন জরুরী।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
২৮ সেপ্টম্বর ২০২০।