ভোলা জেলা প্রতিনিধি ( মোঃ শফিকুল ইসলাম বাবু ) শিক্ষা বঞ্চিত ভোলা লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের চর- কচুয়াখালীর দুই শতাধিকের ও বেশি শিশু। সরকার ঘোষিত বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকার কথা। তাঁরই ধারাবাহিকতায় এ চরটিতে শহীদ আওলাদ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের মার্চ মাসের দিকে সরকার ১৫ শত প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রকল্পের আয়ত্বায় শহীদ আওলাদ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন করা হয়।
সরকার এসব বিদ্যালয় স্হাপনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন। তবে বিদ্যালয় গুলোতে আজও কোন শিক্ষক দেয়া হয়নি।
যার জন্য ওসব এলাকার কোমলমতি শিশুরা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরকারি এ বিদ্যালয় স্হাপনের আগ থেকে এ এলাকার শিশুরা দীর্ঘ ৫ মাইল হেটে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চর-হাদী র একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করত। যা অত্যান্ত কষ্টকর ছিল এসব কোমলমতি শিশুদের জন্য।
তবে স্হানীয়দের পক্ষ থেকে কয়েকবার কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও এখন পর্যন্ত এ সমস্যা সমাধান হয়নি।
চর কচুয়াখালির শিশু মারুফ, আলামিন, রুপা,নাফিসা,রাফিয়া,সবুজ জানান,আমরা এর আগে চর- হাদী বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করতাম।আমাদের সেখানে যেতে অনেক কষ্ট হতো।কিছুদিন আগে আমাদের এখানে একটি বিদ্যালয় হয়।আমরা মনে করেছি এখানেই পড়তে পারবো। কিন্তু স্কুলে শিক্ষক না থাকায় তাও হচ্ছে না।
অভিভাবক তরিকুল ইসলাম, হানিফ, মোস্তফা, আবু বকর জানান,আমরা আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষিত করতে চাই। এত দিন এখানে কোন স্কুল না থাকার কারনে চর- হাদী স্কুলে গিয়ে পড়ত, কিন্তু এখানে স্কুল হওয়াতে আমরা অনেক খুশি হলেও স্কুলে কোন শিক্ষক না থাকায় সেই আগের চর- হাদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কষ্ট করে যেতে হচ্ছে আমাদের শিশুদের। স্কুলটি অনেক দুরে হওয়ায় শিশুরা যেতে চায় না।
তাই আমাদের দাবি এখানে যে স্কুল টি রয়েছে তাতে দ্রুত শিক্ষক দেয়া হোক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি জানান,আমি শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে দ্রুত বিদ্যালয়ে শিক্ষক পোস্টিং দেয়ার ব্যাবস্হা করবো। তবে খুব শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান করা হবে। কারন এ এলাকার শিশুরা শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত হচ্ছে।