মো আমিন আহমেদ, সিলেটঃ সিলেট মহানগরীর শাহপরান থানাধীন খাদিম বি,আইডিসি এলাকায় ছুরিকাঘাতে নাঈম আহমদের খুনের ঘটনায় তার এক বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে তাকে আটক করা হয়।
আটক দেলোয়ার হোসেন সবুজ (২২) সিলেটের গোয়াইনাঘাট উপজেলার ফতেহপুরের বড়নগর গুলনি চা বাগানের লাল মিয়ার ছেলে। তবে বর্তমানে সবুজ মহানগরীর শাহপরানের চামেলীবাগে বসবাস করছিলেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তিনি জানান, দেলোয়ার হোসেন সবুজকে শাহপরান থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, নাঈম আহমদ খুনের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের। তবে তিনি জানান, মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আনিস নামের এক অটো রিকশা চালক শাহপরান থানায় ফোন করেন। তিনি পুলিশকে জানান, শাহপরান থানাধীন কৃষি-খামার সুইচ গেট সংলগ্ন প্রধান সড়ক হতে প্রায় ১ কিমি ভিতরে পায়ে হাঁটা রাস্তার পাশে একজন যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। শাহপরান থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় নাঈমকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাঈম শাহপরানের প্রত্যাশা ১১৯নং বাসার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। শাহপরান মাজার গেইট এলাকার তার বাবার মাছের ব্যবসা রয়েছে।
এদিকে, নাঈমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বন্ধু দেলোয়ার হোসেন সবুজ ও রাব্বি ফোন করে ডেকে নিয়ে নাঈমকে হত্যা করেছে।
নাঈমের বোন রুজি বেগম বলেন, ‘নাইমের বন্ধু সবুজ এবং রাব্বি তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। তাদের ফোনের তাড়ায় আমার ভাই ভাত না খেয়েই বেরিয়ে যায়। তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
নাঈমের মামা আলাউদ্দিন বলেন, ‘রাব্বি ও সবুজ মাদক সেবনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তারা নাঈমকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।’