নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেনা জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ। গত ২১ মার্চ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারা দেশে ৫ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।
এবারের উপজেলা নির্বাচনে কোন দলীয় প্রতীক থাকছে না। তাই এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরিচয় সরাসরি থাকছে না। দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলের হাই কমান্ডের আর্শিবাদ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছেন সরকারী দলীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণায় অনঢ় আছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান কি হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে চলছে নানান আলোচনা। অনেক মিডিয়া আগাম ধারণা প্রসূত রিপোর্টও করছেন। তারা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে জামায়াতে ইসলামী উপজেলা নির্বাচনে যাবে এমন ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তবে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর পূর্ণপ্যানেল নির্বাচনের গুঞ্জন শুনা গেলেও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন বর্জন করার কথা জানিয়েছেন শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা শহিদুল ইসলাম।
শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতে সেক্রেটারির মাওলানা শহিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনেও দলীয় ভাবে জামায়াতের কোন প্রার্থী অংশগ্রহণ করবে না। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ভাবে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা পাঠিয়েছে যে দলের দায়িত্বশীল কেউ যাতে এই নির্বাচনে অংশ না নেন।আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান একাধিক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের জানান, এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না এটা এখন প্রমানীত। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের জনগণ বর্জন করেছে। ভোটারবিহিন একটি একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। তাই এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করবে না।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:৪১ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি