ডিবিএন ডেস্কঃ দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ শক্তি সঞ্চয় করেছে এবং তা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। উত্তর-পশ্চিম দিকে ধাবমান ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘অশনি’ বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা কম। তবুও এটি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকার। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর দিকে ধাবিত হলে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বরিশালে অঞ্চলে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় (অশনি) কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘অশনি’ যেকোনো সময় গতি পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এটি আজ গতিপথ পরিবর্তন নাও করতে পারে। বর্তমানে যে গতিপথে আছে তাতে মঙ্গলবার এটি ভারতের উপকূলের আছড়ে পড়তে পারে। এ কারণে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় দেশের চার সমুদ্র বন্দরে আগের মতো ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।
এদিকে অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, মাইজদীকোর্ট, ফেনী, খুলনা ও যশোর জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।