গত ২১ আগস্ট সোমবার জেলার আদিতমারীতে অটোরিকশা চালক আব্দুর রশিদের (৪৪) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ডাকাতমারা ব্রিজের নিচে ভেটেশ্বর নদী থেকে রশিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ২০ আগস্ট রোববার ছোট ছেলেকে মাদ্রাসায় রাতের খাবার দিতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি অটোরিকশা চালক রশিদ। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ২১ আগস্ট রশিদের বড় ছেলে ফেসবুকে তার নিখোঁজের খবর পোস্ট করলে সকাল ১০ টায় জৈনক এক ব্যক্তি ফোন করে জানায় ডাকাতমারা ব্রিজের উপর রক্ত লেগে আছে এবং ব্যবহৃত স্যান্ডেল ও লাল একটি কাপড়ের অংশবিশেষ পড়ে আছে। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে ভেটেশ্বর নদী থেকে রশিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব-১৩ ঘটনায় অনুসন্ধানে মাঠে নামে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ গত বুধবার রাত ৯ টায় র্যাব-১১ এর সহযোগিতায় গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে ৪ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, সিরাজুল ইসলাম, মো. শামসুল হক, মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং মো. মোমিনুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-১৩ এর সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। র্যাব-১৩ এর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন এইচ এম ওমর ফারুক (পি. এস. সি.)।
এ সময় তিনি আরও বলেন, মূল পরিকল্পনাকারী আসামী মো. সিরাজুল ইসলামের পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে অন্য আসামীদের সহযোগীতায় ঘটনার দিন রাতে বুড়িরবাজার থেকে অটোরিক্সা ভাড়া করে বাবুর বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতমারা ব্রীজের উপর আসামীরা প্রসাব করার কথা বলে অটো থামাতে বলে। এ সময় ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রশিদের সাথে আসামীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সিরাজুল ইসলাম পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুর রশিদের মাথায় সজোরে আঘাত করলে সে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। ছিনতাইকারীরা রশিদের কাছে থাকা টাকা পয়সা এবং অটোরিক্সাটি নিয়ে তাকে অর্ধ-মৃত অবস্থায় ব্রীজের উপর থেকে পানিতে ফেলে দেয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা আন্তঃজেলা অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে র্যাব জানায়।
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি