লবণ চাষী কল্যাণ সমিতি মহেশখালী, কক্সবাজার এর সভাপতি এডভোকেট মোঃ শাহাব উদ্দিন সমিতির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে ৫ দফা দাবী উত্তাপন করেছেন। ৫ দফা দাবি উত্তাপন করে এডভোকেট মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেন, “লবণ চাষে স্বাবলম্বী হবো, দেশের লবণেই চাহিদা মেটাবো।”
তিনি আরো বলেন, বিসিক এর পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের মওসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ লক্ষ মেঃ টন। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০/৮৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। ইনশাল্লাহ আর মাত্র ১০/১৫ দিন ভালো আবহাওয়া পেলে আমরা লবণ চাষীরা বিসিক এর টার্গেট পূর্ণ করতে পারবো।
লবণ চাষী কল্যাণ সমিতি মহেশখালী, কক্সবাজার এর পক্ষ থেকে সভাপতি এডভোকেট মোঃ শাহাব উদ্দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে যে ৫ দফা দাবী উত্তাপন করেছেনঃ
১। ২০২৩ সালের মওসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে আগামী মৌসুমে লবণ আমদানী বন্ধ রাখা।
২। বর্ষা মৌসুমে লবণ চাষীদের প্রতি কেজি ১০ টাকা দামে চাউল বরাদ্দ দেওয়া।
৩। লবণ মাঠের খাস জমিন চাষীদের নামে বরাদ্দ দেওয়া যাতে লবণের উৎপাদন বৃদ্ধি হয়।
৪। চাষীদেরকে বিসিক এর মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষ ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা। যার ফলে ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ লবণ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
৫। চাষীরা বর্তমান মওসুমে লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন।
প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, গত মঙ্গলবার ১০ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। আর গত বছর লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
বিসিক আরো জানায়, চলতি লবণ মৌসুমে মোট চাষকৃত জমির পরিমাণ ৬৬ হাজার ৪২৪ একর, যা গত বছর ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন, যা গত বছর ছিল ৩৭ হাজার ২৩১ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ২৩৬ জন।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সাল থেকে বিসিকের মাধ্যমেই দেশে পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণকেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সব উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
ডিবিএন/এসডিআর/ মোস্তাফিজ বাপ্পি