সাকিব আল হাসান, রৌমারী(কুড়িগ্রাম): ১১ বছর আগে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের পাখিউড়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনকে (২৩) হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত দুলাল হোসেন রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী পাখিউড়া গ্রামের ফরজ আলীর ছেলে। নিহত ছানোয়ার হোসেন একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত ছানোয়ার রৌমারী উপজেলার সায়েদাবাদ বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং ও কম্পিউটার কম্পোজের ব্যবসা করতো। দুলাল হোসেনের ভাই সাইফুল ইসলামও ওই বাজারে একই ব্যবসা করতো। ছানোয়ার নিহত হওয়ার ৩/৪ মাস পূর্বে সাইফুল ইসলামের ওপর রাতের অন্ধকারে হামলার ঘটনা ঘটলে সাইফুলের পরিবার এজন্য ছানোয়ারকে সন্দেহ করে। এরই জের ধরে ২০১০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে দুলাল হোসেন ছানোয়ারকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী রাজীবপুর উপজেলার বদরপুর গ্রামের জনৈক আমির উদ্দিনের বাড়ির পাশে একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ছানোয়ারকে ছুরিকাঘাত করে এবং তার দুই হাতের কব্জি ভেঙ্গে দেয়।
পরে ছানোয়ারের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজীবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরের দিন (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ খ্রি.) নিহতের বাবা দোলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রাজীবপুর থানায় দুলাল হোসেন, তার ভাই সাইফুল ও বাবা ফরজ আলীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর মামলার বিচারকার্য শেষে গতকাল মঙ্গলবার আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত অভিযুক্ত দুলাল হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। মামলার অপর আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।