কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নামধারী সাংবাদিকদের অপকর্মে ভালো-মন্দ সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন অনেকে। পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই, এমন অনেক টাউট-বাটপার গলায় বড় বড় ক্যামেরা ও কোমরে অললাইনের কার্ড ঝুলিয়ে অনেককে অনেকভাবে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভুয়া সাংবাদিকেরা বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ পেতে নিজেদেরকে ‘সাংবাদিক’ পরিচয় দিয়ে নিরীহ লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে এমনকি বিভিন্ন নামি-দামি লোকদের নিয়ে আজেবাজে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন৷ ভূয়া সাংবাদিকদের নানা অপকর্মের কারণে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে দাড়িয়েছে।কথায় কথায় তোলে ছবি ভাবখানা তার সাংঘাতিক। তিলকে সে বানায় তাল-তালকে আবার তিল, চড়ুইকে সে পেঁচা বানায় কাককে বানায় চিল। পুলিশ দেখে মুখ লুকিয়ে পালায় দিগ্বিদিক, সবাই বলে লোকটা নাকি ভূয়া সাংবাদিক। পেশাদার সম্মানিত সাংবাদিকদের জন্য বিষয়টি লজ্জাকর হলেও ছড়া ছন্দের মতই ভূয়া সাংবাদিকরা উপজেলা জুড়ে বেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ফেলেছে। সাংবাদিকদের মতো বেশভূষায় সেজেগুজে একশ্রেণীর প্রতারক অলিগলি, হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। প্রকৃত ঘটনা কি-সে ঘটনার আদৌ কোনো নিউজ ভ্যেল্যু আছে কি না, সেসব ভেবে দেখার ফুসরৎ তাদের নেই। পেটে বোমা ফাটালেও দু’ লাইন লেখার যোগ্যতাহীন টাউট বাটপারের দল চাঁদাবাজিতে সিদ্ধহস্ত। ভূয়া সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য নতুন নয়, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা বেড়ে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এদেরই একজন রফিকুল ইসলাম সাজু। দেখতে মৌলভী হলেও তিনি মুলত পেশাদার একজন নেশাখোর। নেশা করার অপরাধে গ্রেফতারও হয়েছিলেন একবার। মোটকথা তার অপকর্মের কেউ তাকে দেখতে পারনে। হামলার ভয়ে প্রায় এক বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লালমনিরহাটে। রফিকুল ইসলাম সাজুর বিরুদ্ধে তার নিজের ফেইসবুক থেকে বিভিন্ন সময়, জনপ্রতিনিধি ও সমাজের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদেরকে নিয়ে মানহানিকর অপপ্রচার করারও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য রফিকুল ইসলাম সাজুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে ও খুদেবার্তা পাঠিয়েও তার কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।