মিয়ানমার যেন তার নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহী হয়ে উঠে সেজন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। রোহিঙ্গা সংকটে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা জোন বিআরটিএ এবং বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একদিকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার পাশাপাশি ভাসানচরে পুনর্বাসনের প্রস্তুতিও চলছে। এই সংকটে আমাদের পরিবেশ, প্রতিবেশ, পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ কমে গেলে ১১ লাখ অতিরিক্ত মানুষের বোঝা বাংলাদেশে কীভাবে বইবে? এই বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জনস্বার্থে এবং বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহনের আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার বিষয়টি সরকার চিন্তাভাবনা করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনে মাস্ক পরিধান শতভাগ বাধ্যতামূলক করা হবে এবং দাঁড়িয়ে কোনোভাবেই যাত্রী নেয়া যাবে না। যাত্রীদের সিটে বসে ভ্রমণ করতে হবে।এছাড়া, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গণপরিবহনে আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্তও আসতে পারে।
মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করার পর এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং কেবিনেট সচিবের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।