বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সেবা ও সুযোগ দেওয়ার জন্য দুটি প্রকল্পের আওতায় ৭০০ মিলিয়ন বা ৭০ কোটি ডলারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ৬৫ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৮ হাজার ২৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের পর্ষদ বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক সেবা দিতে এই অর্থ অনুমোদন করে।
বুধবার (২৯ মে) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অফ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস মৌলিক পরিষেবা প্রদান এবং বাংলাদেশে স্বাগতিক সম্প্রদায় ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনসংখ্যা উভয়ের জন্য দুর্যোগ এবং সামাজিক স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে মোট ৭০০ মিলিয়ন ডলারের দুটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
২০১৭ সাল থেকে প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সহিংসতার কারণে দেশটি থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি সংকটগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটটি সপ্তম বছরে পদার্পণ করার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং টেকসই সমাধানগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একইসঙ্গে স্বল্পমেয়াদী, জরুরী প্রয়োজনগুলোকেও সমাধান করা প্রয়োজন। তাই বিশ্বব্যাংক এই জটিল সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জানা গেছে, এই ৭০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২৯২.৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান, আর বাকীটা সফট লোন আকারে দিবে বিশ্বব্যাংক।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে সহিংসতার কবলে পড়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সংকটগুলোর মধ্যে একটি বলে ধরা হয়।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম