আর দিন কয়েক পরই কাতারে পর্দা উঠছে ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। এরমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পৌঁছাতে শুরু করেছে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে আরব দেশটিতে পৌঁছেছে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দল আর্জেন্টিনা। এবারের আসরই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ। তাই ভক্তদের আশা, লিও মেসির হাত ধরেই আলবেসেলিস্তাদের ঘরে আসুক তৃতীয় বিশ্বকাপের শিরোপা। অপরদিকে বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক তিনদিন আগে আজ বিক্রি হয়েছে ফুটবলের রাজপুত্র ডিয়েগো ম্যারাডোনার বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত বলটি।
১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে ফুটবল রাজপুত্র ম্যারাডোনার সেই বিতর্কিত ‘হ্যান্ড অব গড’ ম্যাচের জার্সি মাস ছয়েক আগে ৯.৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এ বার রেকর্ড অর্থে বিক্রি হল হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত বলটিও। বুধবার লন্ডনে নিলামে উঠেছিল বিখ্যাত সেই বলটি। বলটি এতদিন ছিল সেই ম্যাচের রেফারি আলি বিন নাসেরের কাছে। এবার সেটি বিক্রি হল ২ মিলিয়ন পাউন্ডে। যা বাংলাদেশের প্রায় ২৫ কোটি টাকার সমান।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত গোলের ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচে আলবেসেলিস্তাদের হয়ে দুটি গোলই করেছিলেন ‘ফুটবলের ঈশ্বর’ ম্যারাডোনা। তবে প্রথম গোলটি নিয়েই জন্ম হয় বিতর্কের। ম্যারাডোনা সেটি ‘পা’ দিয়ে নয়, গোল করেছিলেন ‘হাত’ দিয়ে। ওই ম্যাচটিতে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন তিউনিশিয়ার সাবেক রেফারি আলি বিন নাসের।
অপরদিকে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা গোল বাতিলের আবেদন জানালেও তাতে সাড়া দেননি আলী বিন নাসের। ম্যারাডোনা যে হাত দিয়ে গোল করেছেন, তা তিনি ধরতে পারেননি। পরবর্তীতে ম্যারাডোনা এটিকে ‘হ্যান্ড অব গড’ নামকরণ করেন। সেই ম্যাচেই আরেকটি গোল করেন ম্যারাডোনা। যেটিকে গত শতকের সেরা গোল হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। শতাব্দির সেরা গোলের সেই বলটি এতোদিন ধরে সংরক্ষণে রেখেছিলেন তিউনিশিয়ান রেফারি আল বিন নাসের।
নাসের বলেন, ‘এই বলটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের একটি অংশ। এটিকে বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার এটাই সেরা সময়। আমি নিশ্চিত, যিনি এই বল কিনবেন, তিনি তা কোনো না কোনোভাবে মানুষকে দেখতে দেবেন।