রুশ হামলায় বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র সংকটে পড়েছে ইউক্রেনের মানুষ। গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেন জুড়ে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। খবর রয়টার্সের।
গতকাল মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিবিসির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, এক বোতল পানির জন্য কিয়েভের মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। বাড়িতে পানির সরবরাহ না থাকায় পানির পাম্পগুলোতে এসে তারা ভিড় করছেন। পানি সংকটের সমাধান করা গেলেও দেয়া যায়নি বিদ্যুতের সংযোগ।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিশকো বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের উৎপাদন কম। সে কারণে বরাবরই থাকবে আংশিক লোডশেডিং। সেটি এলাকাভিত্তিক শিডিউলে ফেলেছে প্রশাসন, এমনটাও নিশ্চিত করেন তিনি।
এদিকে জেলেনস্কি প্রশাসনের অভিযোগ, ১০টি অঞ্চলে ছোড়া হয়েছে শক্তিশালী মিসাইল ও ড্রোন। তাতে ১৮টি স্থাপনা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার বেশিরভাগই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এর ফলে মারাত্মক সুপেয় পানির সংকটে ভোগেন কিয়েভের ৮০ শতাংশ বাসিন্দা। আর রাজধানীর দুই লাখ ৭০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি-স্থাপনা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার একটি ড্রোন হামলায় ক্রিমিয়ার বন্দর শহর সেভাস্তোপলে একটি রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়া এ হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে। তবে মস্কো তার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি। ইউক্রেনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।