জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পৃথক হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এদিন তাদের পক্ষের আইনজীবী আব্বাস উদ্দীন ও ফারজানা ইয়াসমিন জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিন হাসানুল হক ইনুকে ৩ দফায় ১৬ দিন, মেননকে দুই দফায় ১১ দিনের রিমান্ড শেষে, পলককে ৩ দফায় ২৩ দিনের এবং মামুনকে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এ আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া মামলাগুলোয় কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। তবে খিলগাঁও থানার একটি হত্যা মামলায় ইনু, মেনন, পলক ও মামুনকে গ্রেফতার দেখানো আবেদন করা হয়। এছাড়া খিলগাঁও থানার আরেক হত্যা মামলায় এবং ভাটারা থানার একটি হত্যা মামলায় মামুনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়।
ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান শুনানি শেষে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদাবর থানার পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় মেনন ২৭ অগাস্ট থেকে ৬ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। আর আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন ইনু।
এদিকে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন কাউসার ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজের ছাত্র ওমর ফারুক হত্যার সূত্রাপুর থানার মামলায় ও রাজধানীর বাড্ডার ফুঁজি টাওয়ারের সামনে সুমন শিকদার হত্যা মামলায় গত ৩১ অগাস্ট পলককে তিন দিন করে ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছিল আদালত।
অন্যদিকে মোহম্মদপুরের দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৮ দিনের রিমান্ড দেয় আদালত।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম