বরগুনায় রিফাত হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।
তিনি জানান, সকাল সাড়ে নয়টার পর তার বাসা থেকে পুলিশ তাকে নিয়ে আসে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আগামীকাল তাকে আদালতে হাজির করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই মিন্নিকে পুলিশি নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছি। পর্যবেক্ষণে পুলিশ মিন্নির জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছে।
এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে সকাল থেকে বলা হচ্ছিল, রিফাত হত্যায় অভিযুক্ত অন্য যেসব আসামি রিমান্ডে আছে তাদের মুখোমুখি করার জন্যই মিন্নিকে পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে। সেখানে দিনভর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার ইঙ্গিত পেয়েছে পুলিশ। এ কারণেই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আদালতে মিন্নির রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে যেটা করার সেটাই তারা করবেন। সেক্ষেত্রে যদি মনে হয়, তাকে রিমান্ড নেয়ার দরকার আছে, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে মিন্নির রিমান্ড চাইবে পুলিশ এবং আরো জিজ্ঞাবাদ করা হবে।
গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় মিন্নিসহ এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিনজনসহ সাত আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।