জহির হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুর রায়পুরে ৫নং চরপাতা ইউনিয়নের মিজি বাড়ির সফিকুর রহমান তথা সফিক কন্ট্রাক্টরকে হত্যার উদ্দেশ্যে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
এতে গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়।
এর আগে গত ১৭জুন সকাল আনুমানিক ৬ টায় এক মহিলা দিয়ে ফোনকলের মাধ্যমে সফিকুর রহমান ওরফে সফিক কনট্রাক্টরকে কাজের কথা বলে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার চৌমুহনী বাজারের নিকটস্থ একটি স্থানে কাজের কথা বলে ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা।
উক্ত স্থানে যাওয়ার পর আগে থেকেই পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা চারদিক থেকে তাকে ঘিরে ফেলে এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কোপাঘাত করে এরপর তাকে মৃতভেবে পাশের খালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এরপর স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরিয়ে কোথাও ভর্তি না নেওয়ায় অবশেষে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন এবং তার বর্তমান অবস্থা আশংকাজনক।
এ হামলার বিষয়ে সফিকুর রহমানের ভাগিনা ইমরান হোসেন সুমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, “এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার মামার সাথে অনেক আগে থেকেই উনার প্রতিবেশি কয়েকজনের বিরোধ ছিলো। যার ফলে, উনার বাড়ির প্রতিবেশী সাদ্দামের নেতৃত্বে মামাকে হত্যার উদ্যোশে এ জঘন্য হামলা করা হয়। এতে মামার শরীরের চারটি অংশ মারাত্মক জখম হয়। উনার বর্তমান অবস্থা খুবই আশংকাজনক। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”
ইতিমধ্যে এই ব্যপারে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে উক্ত মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার এস.আই কালাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা নথিভূক্ত হয়েছে এবং ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এর নির্দেশে ২নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেস্টা অব্যাহত আছে।”