ঈশাত জামান মুন্না,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক পুলিশ বাহিনীতে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে(পিপিএম) ভুষিত হয়েছেন। গত
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৮ সালে যারা সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ ও সেবামূলক কাজের বিবেচনায় পদক পেতে যাচ্ছেন তাদের নামসহ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
সেবা শৃংখলা প্রগতি বাংলাদেশ পুলিশের মূলনিতি, গত ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই পুলিশ সুপার হিসেবে লালমনিরহাটে যোগদানের পর থেকে সীমান্তবর্তি এ জেলায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, মাদক নির্মূল, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)’ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা ও কাটাতারের বেড়াহীন সীমান্তের কারনে লালমনিরহাট জেলা দেশের মাদক ও চোরাচালানের তৃতীয় নিরাপদ রুট হিসেবে বিবেচিত ছিল। মাদকে ডুবে থাকা এ জেলায় যোগদান করেই মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক। প্রথম দিনেই ঘোষনা করেন,‘ হয় মাদক থাকবে নয় তো তিনি এ জেলায় থাকবেন’। ঘোষনা দিয়ে থেমে থাকেন নি। পাড়ায় মহল্লায় সভা সেমিনার করে মাদক ব্যবসায়ীদের ভাল পথে ফিরে আসার আহবানসহ মাদক বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেন তিনি। এরপর শুরু করেন সাঁড়াশী অভিযান। তার প্রতি আস্থা রেখে শত শত মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করে আলোর পথে ফিরে আসেন। প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে জেলার মাদকের আখড়া ভেঙ্গে দিয়েছেন। গ্রেফতার করেছেন কয়েক হাজার মাদক ব্যবসায়ীকে। এ ক্ষেত্রে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী বা সরকার দলীয় নেতাকর্মী কাউকে ছাড় দেন নি। কথায় নয় কাজে প্রমান করেছেন তিনি। বর্তমানে অনেকটায় নিয়ন্ত্রনে এসেছে মরন নেশা মাদক। স্বস্থি ফিরে পায় এ জেলার মানুষ।
মাদক নিয়ন্ত্রনই নয়, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, বাল্যবিয়ে বন্ধে, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখায় বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছেন পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক। বিশেষ অবদান রাখায় গত বছর পুলিশ সেবা সপ্তাহে ‘আইজিপি পদক’ অর্জন করেন। এ ছাড়াও রংপুর রেঞ্জের সেরা পুলিশ সুপার হিসেবে ৯ বার নির্বাচিত হয়ে ক্রেস্ট ও সনদ পান তিনি।
বগুড়া জেলার বাসিন্দা এসএম রশিদুল হক ২১ তম বিসিএস এ উত্তীর্ন হয়ে ২০০৩ সালের ১২ মে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করে পদন্নতি পেয়ে প্রথম পুলিশ সুপার হিসেবে লালমনিরহাটে যোগদান করেন তিনি। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী রাজারবাগে পুলিশ সেবা সপ্তাহ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক(পিপিএম)’ গ্রহন করবেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।
‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক(পিপিএম)’ প্রাপ্তি প্রসঙ্গে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, এ অর্জন জেলা পুলিশ বাহিনীর। এ গৌরব গোটা জেলাবাসীর। এ সম্মান ধরে রাখতে জেলাবাসীর দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মাদক নিয়ন্ত্রনই নয়, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, বাল্যবিয়ে বন্ধে, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখায় বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছেন পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক। বিশেষ অবদান রাখায় গত বছর পুলিশ সেবা সপ্তাহে ‘আইজিপি পদক’ অর্জন করেন। এ ছাড়াও রংপুর রেঞ্জের সেরা পুলিশ সুপার হিসেবে ৯ বার নির্বাচিত হয়ে ক্রেস্ট ও সনদ পান তিনি।
বগুড়া জেলার বাসিন্দা এসএম রশিদুল হক ২১ তম বিসিএস এ উত্তীর্ন হয়ে ২০০৩ সালের ১২ মে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করে পদন্নতি পেয়ে প্রথম পুলিশ সুপার হিসেবে লালমনিরহাটে যোগদান করেন তিনি। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী রাজারবাগে পুলিশ সেবা সপ্তাহ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক(পিপিএম)’ গ্রহন করবেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।
‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক(পিপিএম)’ প্রাপ্তি প্রসঙ্গে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, এ অর্জন জেলা পুলিশ বাহিনীর। এ গৌরব গোটা জেলাবাসীর। এ সম্মান ধরে রাখতে জেলাবাসীর দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।