ঠাকুরগাঁওের রাণীশংকৈলে গত শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রামরায় দিঘির পূর্বপাশে ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সাইফুল নামের আটোবাইক চালক হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে হরিপুর ও রাণীশংকৈল থানা পুলিশ। নিহত সাইফুল হরিপুর উপজেলার দামোল গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
বুধবার ১৫ মার্চ রাতে হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ সকালে তাদের কে আদালতে পাঠানো হয়। আটককৃতরা হলো রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার সিংহোড় গ্রামের রবিউল আওয়ালের ছেলে আব্দুল কাদের (৩০), হাড়িয়া গ্রামের সারোয়ার হোসেনের ছেলে সাদেকুল ইসলাম ওরফে মোজাম্মেল হক মজু ও গোগর গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে সজল (২৪)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় , দীর্ঘদিন যাবত তারা হরিপুর ও রাণীশংকৈলসহ আশেপাশের উপজেলায় ইজিবাইক চুরি করে আসছিল। হরিপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই কিশোর সাইফুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের হরিপুর থানা পুলিশ রাণীশংকৈল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
প্রসঙ্গত: গত শনিবার ৪ মার্চ দুপুরে রাণীশংকৈল উপজেলার রামরায় দিঘির পূর্বপাশে ভুট্টা ক্ষেতে স্থানীয় কিছু নারী ঘাস তুলতে এসে একটি লাশ দেখতে পায়। লাশে মুখে কাপড় প্যাঁচানো, হাতে-পায়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা রাখা হয়েছে ভুট্টা ক্ষেতের এক পাশে। এমন অবস্থা দেখে ওই নারীদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে রাণীশংকৈল পুলিশে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করে লাশটি থানায় নিয়ে আসে।
মৃত সাইফুলের বাবা দামোল গ্রামের নুরুল ইসলাম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং পুলিশের নিকট এসে বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬ টার পর অটোবাইকে যাত্রীনিয়ে রাণীশংকৈলে আসে সাইফুল। এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি। সাইফুলের পরিবার তার নিখোঁজের ব্যপারে হরিপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। এবং তার বাবা দাবী করেন হারিয়ে যাওয়া সাইফুলের এটা লাশ। জিডি মুলে অন্যান্য তথ্য জানার পর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করেন।
হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ইজিবাইক চোরদলের সক্রিয় সদস্য।
রানীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ গুলফামুল ইসলাম মন্ডল বলেন, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুলকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন তিনজনই। এছাড়াও তারা আন্তঃজেলা ইজিবাইক চোরদলের সক্রিয় সদস্য বলে মর্মেও জানান তিনি।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান