হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর কেওটান গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন মন্ডল (৬৮) ৮ বছর ধরে সম্মানী ভাতা বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিগত দীর্ঘদিন ধরে তিনি অনেক আবেদন-নিবেদন দৌড় ঝাঁপ করে গত ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে যথারীতি মাসিক মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাভূক্ত হন। কিন্তু তখন তিনি ৬ মাসের ভাতা উত্তোলন করার পর হঠাৎ তার সম্মানী ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। তার গেজেট নং- ৭২২১২ (২০১৩ ইং), জাতীয় তালিকা নং- ৩২, স্থগিত ভাতা বহি বিল নং- ১২৩।
ভাতা বন্ধের কারন হিসেবে একটি স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্ত কাজ করেছে বলে তিনি ও তার ছেলে পল্লব মন্ডল অভিযোগ করেন। এনিয়ে চিত্তরঞ্জন আবারো দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি ও আরো কয়েকজন বঞ্চিত-প্রতারিত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইউএনও বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন।
সম্মানী ভাতা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জনের বিষয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বিদেশী চন্দ্র রায় ও যুদ্ধকালিন কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন হয়রানির শিকার হয়ে ভাতা বঞ্চিত হয়েছেন। তার এখন আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি ভাতাভূক্ত হলে আপত্তির কিছু নাই।
ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, ভাতা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন সহ কয়েকজনের দেয়া একটি স্মারকলিপি আমি পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি আছে, আমি এ বিষয়টি অবশ্যই পজিটিভলি দেখবো।