সাকিব আল হাসান, রৌমারী (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে কথিত সাংবাদিকদের অপ-সাংবাদিকতায় সুশীল সমাজ সহ ক্ষিপ্ত সাধারণ মানুষ। এসব হলুদ সাংবাদিকদের অবাধ চলাচলে ক্ষোভ জানিয়েছেন সংবাদকর্মীরা। এ কারনে নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিতেও বিব্রতবোধ করছেন তারা। দিন দিন এসব সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সাবরেজিস্টার অফিস, ভুমি অফিস, এসিল্যান্ড অফিস, খাবার হোটেল, মিষ্টির দোকান, বেকারী, বেসরকারি ক্লিনিক এবং হাসপাতালে মাসোহারা ভিত্তিক চাঁদাবাজি করছেন কথিত সাংবাদিকরা। বিনা দাওয়াতে সরকারী ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সভা সমাবেশে এসব সাংবাদিকদের একের পর এক ক্যামেরার ফ্লাশে বিব্রত সরকারি উর্ধ্বতন কমকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাসহ সাধারণ মানুষ। এসব সাংবাদিকের সঠিক কোনো তালিকা উপজেলায় নেই। ফলে নিত্যদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পয়েন্টের থানার আশপাশে এসব কথিত সাংবাদিকরা রাজত্ব করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নীরব ভূমিকা পালন করছে। মোটকথা কথিত সাংবাদিকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুলিশ সদস্যরা।
ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, অসাধু কিছু সাংবাদিকের জন্য রাজিবপুর যদি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া হয়। এতে করে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বে। প্রশাসনের এদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের আশা করছি।
রাজীবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব আজিম উদ্দীন মাষ্টার বলেন, দু’একজন ব্যতিত এইসব নামধারী তথাকথিত সাংবাদিকগণ কি ফিচার, কলাম লিখতে পারে। এদের কারণে আমাদের রাজিবপুরের শ্রদ্ধেয় মতিউর রহমান (হাতেম সাংবাদিক), সবুর ফারুকী স্যার, মোখলেছুর রহমান স্যার, জাকির হোসেন স্যার, আতাউর রহমান স্যার, আমজাদ স্যার সহ নাম না জানা অনেকেই পত্রিকায় লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছেন।
এব্যাপারে প্রবীন সাংবাদিক সাংবাদিক মতিউর রহমান বলেন, কথিত সাংবাদিকদের হলুদ সাংবাদিকতায়, মুলধারার সাংবাদিকরা কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। মেধাবী নতুন কাউকে সাংবাদিকতায় পেশায় আসতে দেখা যাচ্ছে না।