বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূ-বরকে নিয়ে ফেরার পথে রাজশাহীর পদ্মানদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায়
আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো দুইজনে ।
নিখোঁজদের খুঁজতে পদ্মায় শনিবার (৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন বর্ডার
গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ।
এর আগে শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘটনার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলে।
বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়া উদ্দিন মাহমুদ জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে
অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে তাদের প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। চারঘাটের ইউসুফপুর সীমান্তের পদ্মা নদী থেকে
বোরকা পরিহিত অবস্থায় মাঝবয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মৃত নারীর নাম হলো মনি বেগম (৪৫)। তিনি নিখোঁজ কনের চাচি। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ
রয়েছে আরও ৭ জন।
এর আগে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানায়, পদ্মানদীতে বিয়ে বাড়ির
দু’টি নৌকা ডুবে যায়। দুই নৌকায় প্রায় ৩৮ জন যাত্রী ছিল। ঘটনার পর উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ জনকে। এর মধ্যে
রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর মরিয়ম খাতুন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। রাত পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল প্রায় ২৪ জন।
তবে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বেঁচে ফিরেছে আরও ১৭ জন। এ ঘটনায় প্রায় ৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় বরের বাড়িতে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান শেষে নতুন বউ নিয়ে ফিরছিলেন। ফিরোনি অনুষ্ঠানের
জন্য বর-কনেসহ কনে পক্ষের লোকজন নদীর ওপারে চরখিদিরপুর থেকে ওপারে থাকা পবা উপজেলার ডাঙেরহাটে
ফেরার পথে মহানগরীর রাজপাড়া থানার শ্রীরামপুর এলাকার বিপরীতে থাকা মাঝ নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ছয়জন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে বসুয়া জামে মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এই নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত দাঁড়ালো দু’জনে।