রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে ছেলের হাতে বাবা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বাবা সাজ্জাদ আলীকে (৬০) গলা কেটে হত্যা করেছে ছেলে রাসেল (৩৫)। হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়ে থানায় নিখোঁজের জিডি করতে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে।
গেল মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারী) দিবাগত রাত ১২টার দিকে দামকুড়া থানার বিন্দারামপুর গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এর পর গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রাসেল দামকুড়া থানায় বাবার নিখোঁজের জিডি করতে যায়, তখনই তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বাবা সাজ্জাদ আলীকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় রাসেল। এর পর থানায় যায় বাবা নিখোঁজ বলে জিডি করতে। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হয় তার কথা-বার্তায়। এতেই আটক হন তিনি। পরে তার দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নিহত সাজ্জাদ আলীর মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, রাসেলের মা এক বছর আগে মারা যান। এরপর তার বাবা সাজ্জাদ আলী আবারও বিয়ে করতে চান। এ নিয়ে সন্তান রাসেলের সঙ্গে বাবা সাজ্জাদ আলীর কলহ চলছিল। কলহ চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাবার গলা কেটে হত্যা করে রাসেল। এর পর মরদেহ বাড়ির পেছনে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। বুধবার রাতে রাসেল দামকুড়া থানায় যায় বাবা হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে জিডি করতে। কিন্তু তার কথা-বার্তা ও সন্দেহজনক আচরণে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে রাসেল নিজেই তার বাবাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেছে। তার দেখানো সেপটিক ট্যাংক থেকে বুধবার রাত ৩টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, বাবাকে হত্যা ও গুমের ঘটনায় রাসেলকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ হত্যাকান্ডের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।