হঠাৎ করেই রাজনীতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। নির্বাচনের বাকী আরও দুই বছর কিন্তু নির্বাচনী আলোচনা চলছে প্রতিদিন। বি এন পি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে। দলও সংগঠিত নয়। বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে(এখন জামিনে তবে মূক্ত নয়)। তারেক জিয়াও অভিযূক্ত আসামী এবং বিদেশে। দল চালাচ্ছে সিনিয়র নেতারা। তারেক বিদেশে বসে যেভাবে আন্দোলনের নির্দেশ দিচ্ছে দল সেভাবে আন্দোলন করতে পারছেনা। এসব নিয়ে তারেকের সাথে সিনিয়র নেতাদের মতবিরোধ হয় প্রায়ই। ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও সরে যেতে শুরু করেছে। জামাত ইস্যুতে বিরোধ আছে দলের ভিতরেও। দলের নেতারা কেউ কেউ চান বি এন পি একা পথ চলবে কিন্তু, মতবিরোধ আছে সেখানেও।
বচেয়ে বেশী আলোচনা এখন আগামী নির্বাচনে বি এন পি’র অবস্থান কি হবে! ইতিমধ্যে শির্ষ নেতারা বলে দিয়েছে, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া বি এন পি আর কোন নির্বাচনে যাবেনা। বি এন পি যদি নির্বাচনে না যায় তাহলে এককভাবে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে আবারও! সেই ক্ষেত্রে যতই চিৎকার করুক ক্ষতিটি হবে বি এন পি’ রই। এমনটি হলে বি এন পি’র রাজনীতি অস্তিত্ব সঙ্কটে পরবে।
বিপদ আরও আছে। বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়া দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অযোগ্য। জেলে থাকায় বেগম জিয়া প্রচারনায় যেতে পারবেননা এবং তারেক বিদেশ থেকে দেশে আসতে পারবেনা। নেতৃত্বে যারা রয়েছে তাদের যোগ্যতা আছে বেগম জিয়ার মত গ্রহনযোগ্যতা নেই। নির্বাচনে গেলে কিছু আসনত বি এন পি পাবেই তবে, সরকার গঠনের মত জনসমর্থন বি এন পি’র নেই। নির্বাচন বর্জনের আগাম ঘোষনা দিয়ে দলটি এখন বিপদে। যে কারনে নতুন করে সংলাপের প্রস্তাব দেওয়া শুরু করেছে।
বি এন পি’র এই সমস্যাটি ২০০৮ সালের পর থেকেই দেখা দিয়েছে। কোন বিষয়েই দলটির অবস্থান স্থির রাখতে পারেনি। তাদের দাবীটিও সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি। রাজনীতিতে এই দুর্বলতার লক্ষনটি ভালনা। বি এন পি’র অবস্থা এখন” আরেকবার সাধিলেই খাইবো”।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।