এটা ছিল মূজিব বর্ষ। জাতীর জনকের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ব্যপক কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছিল বর্ষব্যাপী। কোভিড-১৯ সব পরিকল্পনা বদলে দিয়েছে। নতুন বাস্তবতায় সরকারকে ভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিতে হয়েছে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল শীঘ্রই দুর্যোগ কেটে যাবে কিন্তু, করোনা এখন বিশ্বজুড়ে চরম দুর্যোগ বয়ে এনেছে। জাতীয় দুর্যোগে দেশের নেতাদের চরিত্রও বদল হয়েগেছে। মানুষের জীবন বাঁচানো যখন অন্যতম প্রধান রাজনীতি তখন খুব বেশী নেতা যোগ্যতার প্রমাণ দেখাতে পারেননি। নিরব হয়ে আত্নগোপনে চলে গেছেন নিজেকে রক্ষা করতে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারোরই কোন স্বক্রিয়তা পরিলক্ষিত হয়নি। কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠেছে অবহেলা আর অযোগ্যতার। এমন বাস্তবতায় সমগ্র রাজনীতির পরিবর্তন প্রয়োজন মনে করছেন সচেতন মানুষেরা। দীর্ঘদিনের প্রথাগত রাজনীতি এখন ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে দেশে।
রাজনীতি জটিল বিষয়, শুধু নির্বাচিত হওয়াই রাজনীতি নয়। রাজনীতির মূল বিষয় জনগন, জনগনের কল্যান আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই রাজনীতি। দূর্যোগে দুরে সরে যাওয়া আর ঘরে বসে সমালোচনা করা রাজনীতি নয়। দেশে যোগ্য নেতৃত্ব নেই বলা যাবেনা তবে, কূটকৌশলের কারনে তারা সামনে আসতে পারেনা। এটা কোন বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর নয় সমগ্র রাজনৈতিক ব্যবস্থাটাই এখন অভিন্ন বাংলাদেশে। শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বজুড়েই যোগ্য নেতার প্রয়োজনীয়তা এখন অনুভুত হচ্ছে। শক্তিধর দেশেও নেতৃত্বের ব্যর্থতা আলোচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্যতা আর সাহস দেখিয়েছেন করোনা মোকাবেলায়। ধীর চিত্তে মনোবল দেখিয়েছেন ধৈর্য্য ধরার। সর্বাত্ত্বক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে রেখেছেন দেশে।
প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি কোথায়ও তাই, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। ব্যত্যয় হয়েছে, কিছু দুর্বৃত্ত এই দুঃসময়েও সুযোগ নিয়েছে, সরকারী সাহায্য আত্মসাৎ করেছে, সফল হয়নি। চিহ্নিত অপরাধী আর সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন দূরীকরণ এখন সময়ের দাবী। বিনীতভাবে অনুরোধ জানাই রাজনীতির আপদ দুর করে দেশে সুস্থ্য রাজনীতি উপহার দেওয়ার। তা নাহলে চলমান উন্নয়নের ধারাটিও থেমে যাবে। এই মহৎ কাজটি একমাত্র শেখ হাসিনাই করতে পারবেন, কারন তিনি নির্মোহ আর জাতীর জনকের কন্যা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
১৭ মে ২০২০।