কোভিড-১৯ বাংলাদেশে এখন ভয়ংকররূপে আবির্ভুত হয়েছে। সংকেতটি দেওয়া হয়েছে আগেই। সংক্রমিত হওয়া থেকে দেশকে রক্ষা করতে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও লক ডাউন চলছে। লক ডাউন ঘোষনার পর পরই বলাবলি শুরু হলো ” লোক খাবে কি”। সরকার ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করেছে। মানূষকে নিরাপদ দুরত্বে রাখতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য বিতরনেরও ঘোষনা করা হয়েছে দেশে। সুযোগ বুঝে কিছু কুলাংগার চুরি শুরু করেছে চিরাচরিতভাবেই। প্রতিযোগিতা চলছে সরকারী সাহায্য নিতেও কে কতবার নিতে পারে। রিলিফ এলেই প্রবনতা শুরু হয় মওজুদ করার। কেউ মওজুদ করে বেশী পাবার জন্য আবার, কেউ মওজুদ করে মুনাফা করার জন্য, অন্যের কথাটি ভাবেনা কেউ। সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে। ত্রুটি খুজতে যারা মাথা খাটান তারা যদি নিজেরাই তদারকি করতেন তাহলে,অনিয়ম থাকেনা। আসলে সরকারের ব্যর্থতা প্রমান করে রাজনৈতিক মতলব হাসিল করাই মূল উদ্দেশ্য তাদের। জড়িত ভদ্র লোকেরাই। এমন চিত্র বাংলাদেশে নতুন নয়, ৭৪ সালেও দুর্ভিক্ষ যতটা না ছিল প্রাকৃতিক তার চেয়ে বেশীছিল রাজনীতির অপকৌশল। একই চিত্র চলছে এখনো আবার। আরাম কেদারায় সুরক্ষিত কক্ষে বসে জ্ঞান বিলানো আর মাঠে নেমে জনগনের সেবা করা এক কথা নয়। এই বিবেচনায় সরকারের ক্ষমতাবান মন্ত্রী এম পি’রাও ব্যতিক্রম নয়। পৃথিবী জুড়ে যে ভয়ংকর মহামারী আবির্ভুত হয়েছে, এর থেকে রক্ষা পেতে সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একমাত্র উপায়। সেই লক্ষ্যে খুব বেশী নেতারা নিজেদেরকে জড়াতে চাননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন কারোরই ভুমিকা পরিলক্ষিত হয়নি এখনো। বিষয়টি শুধু দুঃখের নয়, ভাবনারও। এই নেতাদের কাছে দেশ এবং জাতী কতটা সুরক্ষিত ভাববার সময় এসেছে। সময়টি অনুকুলে নয় তবে, চুলচিরা তদন্তের দাবী রাখে বৈকি!
জাতীর এমন দুঃসময়ে একজন পথের ভিখারি তার জমানো সব টাকা মানূষের জীবন বাঁচাতে তুলে দিয়েছেন কিন্তু, বিত্তশালী ধনকুপ যারা তারা অন্তরালে। নমুনাটি ভালনা, উদ্দেশ্যটিও এখন উকি দিয়েছে নানা প্রশ্নের। গলাবাজি করে যারা জননেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন আর, যারা ক্ষমতার জৌলসে উল্লাসিত বোধ করেন, তাদের চেহারা এখন দেখা যায়না খুব একটা। জাতীয় দুর্যোগে রাজনীতি খেলার কৌশলটিও এখন পরিস্কার। দেশে এখন নেতা একজনই শেখ হাসিনা, যিনি সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন দেশের মানূষের। নিত্য আবেদন নিবেদন করছেন সকলকে এগিয়ে আসার। এক খন্ড জমীকেও অনাবাদি না রাখার নিবেদন করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কারন তিনি জানেন কোভিড-১৯ অতিক্রম করা গেলেও নিশ্চিত বিশ্ব দুর্ভিক্ষের বিপর্যয় ঠেকাতে জমীর ফসলই পারবে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে। এভাবেই তিনি দেশের অর্থনীতিকেও কৃষি বান্ধব করে গড়ে তুলেছেন। দেশে এখন নেতা নয় চাই জননেতা, শুধু বিদ্যান নয় চাই দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ ত্যাগী নেতা। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে দ্রুত, রাজনীতিও পাল্টে যাবে শিঘ্রই । জননেতারাই দেশ পুনর্গঠিন করবেন যেমনটি করেছিলেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সুরক্ষিত হবে দেশ আর দেশের ১৬ কোটি মানুষ।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
২৩ শে এপ্রিল ২০২০