দীর্ঘদিন ধরে দেশে একটা আন্দোলন জমাতে চাইছে কয়েকটি দল। কোন ইস্যু খুঁজে পায়নি তারা। দেশ উন্নত হয়েগেছে এবং দেশের প্রবৃদ্ধি এখন অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল। হেফাজত আন্দোলন, সরকার পতনের লাগাতার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন কোনটাকেই বাদ দেননি তারা। নতুন করে এখন নারী ধর্ষনের ইস্যুকে সামনে এনে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছেন নেতারা। নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে আগেই বলে দেন নির্বাচন নিরপেক্ষ হবেনা।
ধর্ষনের মামলায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে চার্জসিট দেওয়ার জন্য।আগাম বলে দিচ্ছেন নেতারা, এই বিচার হবেনা। হলেও সুষ্ঠ হবেনা। শাহেদের জাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। মিন্নির মামলায় অপরাধীদের সকলের ফাঁসির রায় হয়েছে। ক্যাসিনো মামলায় আটক নেতারাও এখন বিচারের অপেক্ষায়। কোন অপরাধ সংঘটিত হলেই তাকে দলীয় ব্যখ্যা দিয়ে সরকারের পদত্যগ চাওয়া তাদের শ্লোগানে পরিনত হয়েছে।
যারা অপরাধ করে তারা অপরাধী এবং অপরাধীর কোন দল নেই। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অপরাধীকে ছাড় না দেওয়ার। তারপরেও সোশাল মিডিয়াতে প্রতিদিন যেভাবে মিথ্যা প্রচারনা চালনা হচ্ছে তা রাজনীতি। সরকার যদি অপরাধীদের বিচার করতে ব্যার্থ হয় তবেই কেবল আন্দোলন করা যৌক্তিক হবে তার আগে নয়। কিছু কিছু নেতা আছেন যারা কখনোই সরকারের সাফল্যই দেখতে পাননা। তাদের কথা শুনলে মনে হবে যেন, দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু অসত্যটি হল বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল রাষ্ট্র। বিশ্ব বিবেচনায় সব সূচকেই বাংলাদেশ এগিয়ে। কোভিড- ১৯ বিশ্ব অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে, কিন্ত এই বিপর্যয়েও বাংলাদেশের মত দেশ প্রবৃদ্ধিটি ধরে রেখেছে। বন্যা আর কোভিডের মধ্যেও না কেউ না খেয়ে মারা যায়নি। সরকার বন্যা দূর্গতদের জন্য প্রনোদনা দিয়ে চলেছে। যারা,দুর্নীতি করেছে তারা ধরা পরছে একে একে। দলীয় নেতারাও ছাড় পায়নি, এর আগে কোন সরকারটি এমন সাহস দেখাতে পেরেছে আমার জানা নেই। তাহলে সরকার উৎখাত করার দাবী করছে কারা এবং কেন?
আসলে যারা,গনতান্ত্রিক পন্থায় জনগনের রায় নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে ভয় পায়। যারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে রাজনীতিতে প্রশ্রয় দিয়েছে, জনগন যাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে তারা, জনগনকে ক্ষেপিয়ে তুলতে চায়। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ভিন্ন পথে ক্ষমতায় অধিষ্টিত হতে চায়। দেশের মানূষও উদ্দেশ্যটি জেনে গেছে। এই স্বপ্ন পুরন হবেনা ইনশাল্লাহ।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
১০ অক্টোবর ২০২০।