রাজনীতির ভুলে দেশ গরীব হয়। ভেনিজুয়েলা তেল সমৃদ্ধ হয়েও দরিদ্র দেশের অন্যতম। সোমালিয়া ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ার মত দেশও এখন দারিদ্র দেশের তালিকায়। ভুল রাজনীতি দেশের বিপদ ডেকে আনে। ভূটান, সিঙ্গাপুর, অষ্ট্রিয়া এবং আরও দেশ আছে যাদের প্রাকৃতিক সম্পদ না থেকেও ধনী। পর্যটন শিল্প নির্ভর দেশও অর্থনৈতিকভাবে তেল সমৃদ্ধ দেশের চেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে। একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেশের অবস্থান বদলে দিতে পারে। এ জন্যই চাই রাজনৈতিক নেতৃত্ব যেমন ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নেতৃত্ব দিয়ে একটি দেশের জন্ম দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে নিহত না হলে বাংলাদেশ বহু আগেই বদলে যেত। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা রাজনৈতিক সাহস দেখিয়েছেন রাজনীতিতে। সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন বার বার। পদ্মা সেতু নির্মান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিরোধী দলের নেতারা বিদেশী এজেন্ট ভাড়া করে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল সেতু নির্মানের আগেই। ঋনের অর্থ ফেরৎ নিয়েগেছে বিশ্বব্যঙ্ক। প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মানের ঘোষনা দিয়ে দেশের অবস্থান বদলে দিয়েছেন। পদ্মা সেতু এখন বাংলাদেশের গর্বের ধন। এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের নাম ভিন্ন উচ্চতায় বিবেচিত হয়।
১২ বছর ক্ষমতায় থেকে বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়নের শির্ষে নিয়ে গেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে অর্থনোতিক ভাবেও এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দেশের এই সাফল্য দেখেও রাজনৈতিক নেতাদের বিরোধ দুঃখজনক। কিছু দল এবং নেতা প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করে চলেছে সরকারের বিরুদ্ধে- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। যারা আগে সরকার পরিচালনা করেছে তাদের সময়টি তুলনা করলে নিজেদেরই লজ্জা পাবার কথা। সেই লজ্জাবোধ তাদের আছে মনে হয়না। সরকারের সমালোচনা করার অধিকার সকলেরই আছে। তবে সত্য বলা রাজনীতির পুর্ব শর্ত। মিথ্যা নির্ভর রাজনীতি স্থায়ী হয়না। রাজনীতির এই সত্যটি দেশের মানুষ উপলুব্ধি করলেও নেতারা বুঝতে চায়না। সে কারনেই জনগন সারা দেয়না অসত্য রাজনীতিতে।
অন্যতম বিরোধী দল বি এন পি সংগঠিত নয়। নেতৃত্বের ব্যর্থতায় নেতারাও বিভক্ত। দলহীন নেতাদের কাঁধে ভর করে আন্দোলনের ডাক দিলেও কোন কর্মসূচিই সার্থক করতে পারেনি। কিন্তু মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করছে। বি এন পি’তেও ভাল নেতারা রয়েছেন। তাদের উচিৎ দলটিকে এই অপরাজনীতি থেকে সরিয়ে আনা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।