উপজেলা নির্বাচনে কেবল তৃণমূলের মতামতেরভিত্তিতেই মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, মনোনয়ন চূড়ান্ত করার আগে জরিপ প্রতিবেদনও দেখা হবে।
সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রি উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
আগামী ১০ মার্চ হতে যাওয়া ৮৭ উপজেলা নির্বাচনে কেবল চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দেবে আওয়ামী লীগ। ভাইস-চেয়ারম্যান এবং সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট হবে উন্মুক্ত। আর স্থানীয় পর্যায় থেকে যাদের নামে সুপারিশ এসেছে কেবল তারাই দলের মনোনয়ন ফরম কিনতে পারছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা দলীয় মনোনয়ন পেতে ১৫ থেকে ১৮ জনের থেকে দরখাস্ত করেছে। তারা তাদের সিভিসহ এপ্লিকেশন জমা দিয়েছে। দলীয় প্রধান ও আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিভিগুলোকে যাচাই-বাছাই করার জন্যে একটি কমিটি করে দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি নিজেও পারসোনালি দেখছেন।’
‘আমরা অনেক যাচাই বাছাই করে মনোনয়ন দেব। তবে আমাদের দলের দীর্ঘ দিনের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মী অগ্রাধিকার পারে।’
গণভবনে চা-চক্রের আয়োজনকে ‘বিবেকহীন আনন্দের আয়োজন’ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে যে বক্তব্য এসেছে তা নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘আসলে নেতিবাচক রাজনীতিতে গভীর খাদে কিনা রায় চলে এসেছে বিএনপি। বেসামাল-বেপরোয়া হয়ে তারা যখন যা খুশি তাই বলছে।’
‘বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের নেতারাই শুধু নির্বাচনকে বিতর্ক করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কে, কী বলল এটা নিয়ে আমাদের আসে যায় না। এটা ব্যর্থ বিএনপির অসংলগ্ন প্রলাপ ছাড়া কিছু না।’
‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে বিদেশে কোনো প্রশ্ন নেই। দুনিয়ায় সব সভ্য গণতান্ত্রিক দেশগুলো এই নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা স্বয়ং জাতিসংঘ বলছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে কোথাও কোনো প্রশ্ন নেই, কোথাও কোনো বিতর্ক নেই। দেশের জনগণের মাঝে কোনো বিরুপ সমালোচনা নেই।’
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।