বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ এ পরিণত হয়ে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। এটি আগামীকাল মঙ্গলাবার (৫ ডিসেম্বর) ভারতের তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে, কমতে পারে তাপমাত্রাও। ফলে দেশে জেঁকে বসতে পারে শীত।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, , ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর পর অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণে এবং তামিলনাড়ুর উত্তর ভাগে ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। ‘মিগজাউম’র প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ১ হাজার ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ১ হাজার ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:৪৮ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/এমআরবি