মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-দেশের সীমান্তবর্তী যশোর জেলার শার্শা উপজেলা দিয়ে প্রায় ৩০টি স্পট দিয়ে আসছে ইয়াবা-ফেনসিডিলসহ নানা মাদকের চালান।পরে সেসব ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার প্রত্যান্ত এলাকায়।চলমান মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের কারণে পাচারের হার কিছুটা কমলেও থেমে নেই মাদকের কারবারিরা।বরং রুট বদলে নিত্যনতুন কৌশলে তারা মাদকের চালান পৌঁছে দিচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যে।
এ প্রসঙ্গে বেনাপোল পোর্ট থানা জানায় চলমান অভিযান ও পাচারের রুট গুলোয় নজরদারি বাড়ানোর ফলে এখন পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।মাদক ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছে।সমন্বিত তৎপরতায় মাদক পাচার পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব হবে বলেও আশা করেন ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিম।
কয়েক বছরের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে,দেশে মাদকসেবীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ইয়াবা।এটি আসে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে।দেশটি থেকে কার্যকর সহায়তা না পাওয়ায় ইয়াবার প্রবেশ পুরোপুরি ঠেকানো যাচ্ছে না।তবে এ ক্ষেত্রে ভারত কার্যকর সহায়তা করায় ফেনসিডিল আর আগের মতো আসছে না।অবশ্য সীমান্তপথে গাঁজা,হেরোইন এবং ইনজেকটিং ড্রাগসসহ অন্যান্য মাদকও পাচার হয়ে আসছে।এসব রুট চিহ্নিত করে মাদক পাচার ঠেকাতে কাজ করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। টেকনাফ চট্রগ্রাম কক্সবাজারের বিভিন্ন রুট দিয়ে ইয়াবা ঢাকা সহ বেনাপোল আসে বলে একটি সুত্র দাবি করেন।
যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর, গোগা,অগ্রভুলট ও বাগআঁচড়ার মধ্য দিয়ে নাভারণ বাজার হয়ে অথবা বাগআঁচড়ার মধ্য দিয়ে ঝিকরগাছা হয়ে যশোরের পুলেরহাটে মাদকদ্রব্য আসছে। বেনাপোল বন্দর থানার পুটখালী, দৌলতপুর,গাতিপাড়া,সাদীপুর, রঘুনাথপুর থেকে শার্শা-নাভারণের দিকে মাদক যাচ্ছে।
ইদানিং প্রায় প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিলের চালান সীমান্তে নিয়োজিত আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে ধরা পড়ছে।চারিদিকে মাদক বিরোধী সভা সমাবেশ হলে ও ব্যাবসায়িরা থেমে থাকছে না। মাদক ব্যবসায়িদের মধ্যে অনেকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে ও নিজেদের মধ্যে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পরও এ পেশা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না তাদের পুরাতন এ ব্যবসা থেকে।
বেনাপোল পৌর কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন,বেনাপোলে আগের থেকে এখন মাদক ব্যাবসায়িরা অনেক নিয়ন্ত্রনে এসেছে।বর্তমানে প্রশাসন যে ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে এই ভাবে যদি অব্যাহত থাকে তবে নির্মুল করা সম্ভব হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীন সাংবাদিক কবি আলতাব চৌধুরী বলেন,৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ আমরা করেছিলাম এই প্রত্যশায় যে,একটি সুস্থ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হোক।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও ছিল তাই।কিন্তু আজ যখন গোটা দেশ জুড়ে মাদকের ভয়াবহতায় অসুস্থ সমাজ দেখছি তখন হৃদয়ে রক্ত ক্ষরন ঘটে।