মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোর শহরে অবশেষে ভৈরব নদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।(বৃহস্পতিবার২৮শে মার্চ)সকালে দড়াটানা সেতু সংলগ্ন এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে শহরাংশের ৮৫অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে।
যশোর জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামীর উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান,সকল প্রকার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান ২০১৬ সালে ২৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছর মেয়াদী ‘ভৈরব রিভার বেসিন এলাকার জলবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প’শুরু হয়েছে।ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।৯২ কিলোমিটার খনন কাজের ৭০ কিলোমিটার কাজ চলমান রয়েছে।শহর অঞ্চলে ভৈরব নদীর অবৈধ দখলদার ৮৫টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।এরমধ্যে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা ব্রিজ থেকে উজানে বাবলাতলা ব্রিজ পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা গুলো হলো-আরিফা বুক ডিপো,হেলাল বুক ডিপো,হাসান অ্যান্ড কোং,ইত্যাদী ইত্যাদী, হাসান বুক ডিপো,জননী কুরিয়ার সার্ভিস, বুক প্যালেস,জামান বেডিং,বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমীতি,রুপালী স্ট্রীল ট্রাংক সপ,সোনালী বলাকা,হাবীব বেডিং,রয়েল বুক ডিপো,অগ্রণী ফটো স্টুডিও,সেন্ট স্টুডিও,স্বপ্ন ফার্নিচার,স্মৃতি উড,নিউ উড কিং, ফনিংটন হোমিও হল,মোহাম্মদ হোসেন ঠান্ডুর তেলের মিল, সিএনজি কাউন্টার,মিঠু ফলঘর, মনি ফল ঘর,অংকন আর্ট, মুস্তাকিম ফল ভান্ডার,আফরোজা ফ্রুট,মতি টি স্টোর,অঞ্জলি সেলুন, সুজন এন্টারপ্রাইজ,শিকদার ফল ঘর,জাহাঙ্গীর পান স্টোর,আদি ভৈরব হোটেল,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আঞ্চলিক কার্যালয়,সনি ফুড পার্ক,দড়াটানা হোটেল,শওকত স্টোর,বাগাট মিষ্টান্ন ভান্ডার,নিউ ভৈরব হোটেল,গাড়ি পার্কিং সাইকেল স্ট্যান্ড,একতা ক্লিনিক, মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কমটেক হাসপাতাল,দেশ ক্লিনিক, অর্থোপেডিক ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিস্টক সেন্টার, কংকন সাহার বাসা বাড়ি,রফিক টি স্টল ও রাজধানী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট।অপরদিকে,দড়াটানা ব্রিজ থেকে ভাটির বারান্দিপাড়া পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনাগুলো হলো-বিসমিল্লাহ ক্রোকারিজ,ট্রেড হাউস,আলী মঞ্জিল,জনতা সুপার মার্কেট,সম্রাট সুজ,প্রাইম সুজ,অরিয়েন্ট,ছিট বিতান,এ্যানি সুজ,একতা ক্লথ স্টোর,ফ্যাশন অ্যাম্বয়ডারি, কালীপূজা মন্ডপের পিছনে, নোয়খালি সবজি ভান্ডার,ইমানুল রহমানের বাসা বাড়ি,শাহিনুর রহমান বাসা বাড়ি,টি স্টল,বক্কার পোল্ট্রি হাউস,মাটির খেলনা ঘর, মনু বিশ্বাসের বাসা বাড়ি,কিরু মিয়ার পাখির দোকান,রফিকের টি স্টল,কালু মিয়ার টি স্টল,তাসলিমা টি স্টল,নাদিমের মাংসের দোকান, রবিউলের টি স্টল,সালামের টি স্টল,স্মার্টেক্স,ইউরি ড্রাগ হাউস, দড়াটানা হাসপাতাল,সিরাজুল ইসলামের বাসা বাড়ি,বাবুর মাংসের দোকান,রফিকুলের টি স্টল,নান্নু মিয়ার মাংসের দোকান,বাচ্চু মিয়ার মাংসের দোকান,জাহাঙ্গীরের পোল্টি হাউজ,নিমাই চন্দ্র দাসের বাসা বাড়ি,সালাউদ্দিনের বাসা বাড়ি,নীলগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন বিজিবির দেয়াল।