মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। বুধবার(২৬শে ফেব্রুয়ারি)সকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোল- বেনাপোল বন্দরের সকল প্রকার বানিজ্য বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করছে।এখানকার ব্যবসায়ীরা জানান,ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টের স্টাফদের ভারতে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারতীয় পন্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে আমদানী চালু থাকলেও বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক রপ্তানী বন্ধ ছিল।তবে কাস্টমসের কর্মকর্তারা আমদানী-রপ্তানী চালু করতে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কাস্টমসের কর্মকর্তারা।তবে আগের দিনের যে সকল গেট পাশে আমদানি পন্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিল শুধু মাত্র সেই সকল গাড়ি গুলোই বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী মোঃ জাহান আলী বলেন,সকালে মালামাল রপ্তানীর জন্য কাগজপত্র নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে গেলে হঠাৎ করে বিএসএফ এর বাধার মুখে পড়ি।এবং আমার মত আরো কর্মচারীরা বিএসএফের বাধার কারণে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।বিএসএফ বলেন এ ভাবে প্রবেশ করা যাবে না।পাসপোর্ট নিয়ে প্রবেশ করতে হবে।ভূক্তভোগীরা আরো বলেন, পণ্যের কাগজ পত্র পেয়ে উভয় দেশে আইজিএম খোলা হয় তারপর মালামাল দুই দেশে প্রবেশ করে।যে কারণে মুহুর্তের মধ্যে ভারতের সাথে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানী বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন জানান,সকাল থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বেনাপোল সিএন্ডএফ কর্মচারীদের পেট্রাপোল বন্দরে ঢুকতে না দেওয়ায় সকাল থেকে ভারতের সাথে আমাদানী-রপ্তানী বন্ধ ছিল।তবে কি কারণে তারা স্টাফদের ভারতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তা এখনো জানা যায়নি।
বেনাপোল কাস্টমসের কার্গো শাখার সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান,সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা যাতে তাড়া তাড়ি ভারতে প্রবেশ করতে পারে সেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে।তবে ধারণা করা হচ্ছে ভারতে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সফরের কারণে সীমান্তজুড়ে কঠোর নজরদারির ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।