মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোর কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান পুলিশ পরিচয় দানকারী অপরাধীকে ধরিয়ে দিলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষনা দিয়েছে।(রোববার ৩ই ফেব্রুয়ারি) তার সাথে আলাপকালে তিনি এ ঘোষনার কথা জানান।যশোর কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের সবক’টি দল পুলিশ পরিচয় দানকারী চক্রকে ধরার জন্য কাজ করে চলছে।রোববার সন্ধ্যায় যশোর সদর উপজেলার বাউলিয়া গ্রামের বর্তমানে শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া ব্যাটারী পট্টি এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক সেনা বাহিনীর সদস্য হাফিজুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র শাহরিয়ার আলম রাব্বি কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডাইরী করেছেন।তিনি ডাইরীতে তার মোবাইল চুরির কথা উল্লেখ করলেও প্রকৃত পক্ষে শনিবার বিকেল আনুমানিক ৪ টায় নাজির শংকর পুর শেখ হাসিনা আইটি পার্কের কাছে পুলিশ পরিচয়ে দুইজন দূবৃর্ত্ত জনগনের সামনে শাহিরয়ার আলম রাব্বির গতিরোধ করে।পরে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাব্বিকে মারপিটের এক পর্যায় তার কাছে থাকা ২৯ হাজার টাকা মূল্যের অপ্পো মোবাইল ফোন তাদের হেফাজতে নেয়।রাব্বি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।পুলিশ পরিচয় উক্ত দুই যুবক নিজেদের রক্ষার জন্য জনসাধারণকে জানান এই ছেলে অপরাধী না হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।তারা পুলিশের হ্যান্ডকাপ মাজায় প্রদর্শন করলে স্থানীয় জনগন পিছু হটে।পরে সুযোগ বুঝে উক্ত দুই যুবক তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল দ্রুত চালিয়ে সটকে পড়ে।এছাড়া,শহরের এমএম কলেজ খড়কী এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।ইদানীং একটি চক্র জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি)ও কোতয়ালী থানার কথিত সিভিল টিমের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা বিচ্ছিন্নভাবে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই কাজে মেতে উঠেছে। কোতয়ালি মডেল থানায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের খবর যাওয়ায় কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান,পুলিশ পরিদর্শক সামসুদ্দোহাসহ পুলিশের সবকয়টি টিম সোচ্চার ভূমিকায় নেমে পড়েন।তারা পুলিশ পরিচয় উক্ত দুই দূবৃর্ত্তকে সনাক্ত করতে কাজ করছেন।ইতিমধ্যে উক্ত দুই যুবকের ছবি সংগ্রহ করেছেন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি টিভির মাধ্যমে।তাদেরকে যে কোন সময় গ্রেফতারের আওতায় আনা হবে বলে অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।